এ পরিস্থিতিতে সোমবার বিকালের পর থেকে রোগীদের সময়মত খাবার দিতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
আর হাসপাতালের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনায় পড়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেজিডিসিএল বুধবার তাদের গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপনের আশ্বাস দিয়েছে।
জানতে চাইলে কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমদ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রায় চার লাখ টাকার গ্যাস বিল বকেয়া পড়েছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা পুরো টাকা একসাথে চায়। কিন্তু আমাদের অত বরাদ্দ নেই। দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। সেটা হিসাব বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কেজিডিসিএল বরাবরে চেক ইস্যু হবে।
“তারাও আমাদেরই মত সরকারের প্রতিষ্ঠান ধরতে গেলে। তারা চাইলে আমাদের বিষয়টা বুঝতে পারত। আমাদের বরাদ্দ আসে তিন মাস পর পর। বরাদ্দ না আসায় আমরা বিল পরিশোধ করতে পারিনি। বিদ্যুতের বিলও অনেক বকেয়া ছিল। বরাদ্দ আসার পর তা পরিশোধ করেছি। কিন্তু বিদ্যুত সংযোগ তো বিচ্ছিন্ন হয়নি।”
গ্যাস না থাকায় লাকড়ি দিয়ে হাসপাতালে রোগীদের খাবার রান্নার কথা জানিয়ে অসীম বলেন, “এ ব্যবস্থায় কেউ তো এখন আর অভ্যস্ত না, তাই সময় একটু বেশি লাগছে। আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে, কেজিডিসিএল কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামীকাল সংযোগ দেওয়া হবে।”
কার্ডিয়াক বিভাগের রোগী রবিউল আলম বলেন, “বেলা ১টায় আমার ভরাপেটে ওষুধ খাওয়ার কথা। আজ দুপুরের খাবার দিয়েছে ২টার সময়।”
২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে বর্তমানে আছেন ১৮০ জন রোগী, যাদের দুই বেলা রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। রান্নাঘরে গিয়ে দেখা যায়, চুলায় ইট বসিয়ে হাড়ি-পাতিল চড়ানো হয়েছে। রান্না চলছে লাকড়ি দিয়ে।
হাসপাতালের কুক সালেহ উদ্দিন মুরাদ বলেন, দুই বেলায় ৩৬০ জনের রান্না। ভোর তিনটার পর থেকে রান্নার কাজ শুরু করতে হয়েছে। এভাবে রান্না করে এত মানুষের খাবার দেওয়া কঠিন।