বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের পর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মো. সুমন (৩৬), মো. আসাদ উল্লাহ (২৬), মো. আরিফ (২০) ও মো. জাহেদ (২০)।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাশকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “হাটহাজারি উপজেলা ফতেয়াবাদ আমতলী এলাকার সন্দ্বীপ কলোনিতে বাহিনী তৈরি করে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে আসছিল সুমন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদকসহ অর্ধশতাধিক মামলা আছে।”
সুমনকে গ্রেপ্তারের পর তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তলসহ ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমি হারানো এবং কাজের সন্ধানে আসা সন্দ্বীপ উপজেলার লোকজন সত্তরের দশক থেকে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন হাটহাজারি উপজেলার ফতেয়াবাদের আমতলী এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ি ও সরকারি খাস জমিতে। সেখানে তাদের গড়ে তোলা বসতি পরবর্তীতে সন্দ্বীপ কলোনি নামে স্থানীয়দের কাছে পরিচিতি পায়।
এএসপি মাশকুর বলেন, “ওই কলোনিতে বাড়ি তৈরি করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কিছুতে সুমনকে চাঁদা দিতে হয় স্থানীয়দের। তার অনুমতি ছাড়া ওই কলোনিতে বসবাস কিংবা কোনো কিছুই করা যায় না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।”