নগরীর পাথরঘাটায় ব্রিক ফিল্ড রোডে বিস্ফোরণে বড়ুয়া ভবন মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “যে দালানকোঠা বৃদ্ধি হয়েছে সেগুলোতে কোনো পরিকল্পনাগত ত্রুটি ছিল কিনা সেটা দেখতে হবে। কারণ পরিকল্পনায় যদি ত্রুটি থাকে তাহলে সকলের জন্যই বসবাস করাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
“নগরের পুরনো ভবনগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ লাইন পরীক্ষা করা উচিত। একইসাথে সিডিএর নকশা অনুমোদন এবং অনুমোদিত নকশা অনুসারে ভবন নির্মাণ হয়েছে কিনা সেটাও নজরদারির আওতায় আনতে হবে।”
গত রোববার সকালে বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ওই বিস্ফোরণে সাতজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ভবনটির মালিক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগে’ মামলা হয়েছে।
“পরিদর্শন শেষে যদি ঝুঁকির কিছু পায় তাহলে নিদের্শনা ও সচেতনতার বিষয়ে ব্রিফ করতে হবে, কারণ অনেক ভবন মালিক জানেন না।”
পাথরঘাটা বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে নিরূপন করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার বা গ্যাসের লাইন থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরবর্তীতে কর্ণফুলী গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি থেকে বলা হয়েছে যে, গ্যাস লাইনে কোনো সমস্যা সেখানে দেখা যায়নি।
সব প্রতিবেদন জমা হলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে, এ ধরনের ঘটনা থেকে প্রতিকারের উপায় বা সুপারিশ পাওয়া যাবে।
“এখানে অন্যান্য কোনো বিষয় জড়িত আছে কি না যেমন- সেপটিক ট্যাংক থেকে যে গ্যাস নির্গত হয় সেটা বের হওয়ার কোনো পথ ছিল কিনা, সেটা জমে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। সকল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাব দালানের নিচে যে সেপটিক ট্যাংক আছে সেগুলোতে গ্যাস নির্গমনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা সেগুলো তারা পরিদর্শন করা শুরু করুক।”
এসময় হতাহতদের পরিবারের কয়েকজনকে তিনি অর্থ সহায়তা দেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।