বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ষোলশহরে অবস্থিত চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আনুকা নামে একটি দোকান থেকে নজরুল ইসলাম নামের ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ।
নজরুল জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় চেইনম্যান হিসেবে থাকলেও তার কর্মস্থল ছিল ফটিকছড়ি উপজেলা ভূমি অফিসে।
রতন দাশ জানান, তার কাছ থেকে নগদ সাড়ে সাত লাখ টাকা এবং ৯১ লাখ টাকার চেক পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ভুমি অফিসের বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে কাজ করে দেয়ার নাম করে এসব চেক নেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় নজরুলসহ তিনজনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, আনুকা ছাড়াও নজরুলের মালিকানাধীন আরও দুটি দোকান চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সে রয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা, নজরুলের মালিকানাধীন দোকান থেকে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন জমির দলিলসহ কাগজপত্র পেয়েছে।
অভিযোগ আছে, কমিশন না দিলে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া যেত না। এ চক্রকে ক্ষতিপূরণের অন্তত ১৩ শতাংশ টাকা দিলে তবেই মিলত ক্ষতিপূরণের টাকা।