শুক্রবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে চার দিনের জন্মাষ্টমী উৎসবের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “জাতির জনকের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতি সেই দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
“ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান-আদিবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক হয়েছিল, এবারও সেভাবে এদেশের সকল বাঙালি মিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ আমরা গড়ব।”
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতও পাশে ছিল। অনেক ভারতীয়ও এ যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিল।
“বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অতীতের ন্যায় ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করে যাবে।”
“সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা বাংলাদেশের বৃহত্তম আয়োজন। আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই এই অসাম্প্রদায়িক আয়োজনের জন্য। এই সহমর্মিতা নিয়েই যাতে আমরা বাংলাদেশ গড়তে পারি। উন্নয়নের পথে শেখ হাসিনার যাত্রায় যেন সবাই শামিল হতে পারি।”
উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অলক দাশের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান।
সকাল থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বিভিন্ন গানের সাথে নেচে নেচে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রার বিভিন্ন গাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাজে সজ্জিত হয়ে আসেন ভক্তরা। শোভাযাত্রাটি আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।