‘এআই রোবট’ ও নৈতিকতা নিয়ে ইডিইউতে আলোচনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নৈতিকতা নিয়ে দিনব্যাপী এক আলোচনা অনুষ্ঠান হয়েছে চট্টগ্রামের বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইডিইউ)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2019, 03:09 PM
Updated : 15 July 2019, 03:09 PM

সোমবার ইডিইউ ক্যাম্পাসে সেমিনার হলে ‘এথিকস অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শিরোনামে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়। এর যৌথ আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটি ।

অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. ফিলোমেনা লিয়াং বলেন,  “কম্পিউটার বা রোবট যদি মানুষের মতো চিন্তা করে এবং নিজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করে, তবে তা নৈতিক দিক থেকে আশঙ্কাজনক হতে পারে।

“এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বেকারত্বের হার বেড়ে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের বুদ্ধিমত্তা সামাজিক ক্ষতিসাধনে ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

ফিলোমেনা লিয়াং বলেন, “মানুষের মতো চিন্তা-আচরণ করলেও যেহেতু তারা মানুষ নয় তাই সামাজিক নিয়ম ও আইনগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ফলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনাও দুরূহ হয়ে পড়বে।

“এমনকি মানুষের গোপনীয় ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এসব নেতিবাচক দিক ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক সম্ভাবনাও অনেক। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি ও ব্যবহারে মাত্রাজ্ঞান রাখা খুব জরুরি।”

ইডিইউ’র প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন,  “শিক্ষার্থীদের আপ টু ডেট রাখার পাশাপাশি নৈতিক দিক উন্নত করতেও আমরা সচেষ্ট।”

এ লক্ষ্যে বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষজ্ঞরাও নিয়মিত ক্লাশ-সেমিনার পরিচালনা করছেন বলে জানান তিনি।  

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিয়ে ইডিইউ’র স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন,  “মানুষের মত আচরণ ও চিন্তা করতে পারে যে প্রযুক্তি তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। রোবট, গুগল এসিস্ট্যান্ট, এলেক্সা, সিরি প্রভৃতি এ ধরনের প্রযুক্তি।”

ব্যবসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে ইডিইউ’র স্কুল বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির বলেন,  “হিসাবরক্ষণ থেকে শুরু করে আর্থিক বিবরণ প্রস্তুত, ডেটা বিশ্লেষণ কিংবা পণ্য তৈরি- এসব ফর্মুলা নির্ভর কাজে ইতোমধ্যে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।”

এই প্রযুক্তির আওতা ‘নিরাপদ পর্যায়ে’ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা বলে জানান এই শিক্ষক।