বুধবার নগর ভবনে সিটি গর্ভনেন্স প্রকল্পের অধীনে সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির ষোড়শ সভায় সভাপতির বক্তব্যে ট্রাফিক ‘অব্যবস্থাপনা’ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মেয়র নাছির বলেন, “নগরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যানজটে নগরবাসীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। যেখানে যাই, সেখানে যানজট আর যানজট। এ অবস্থায় নগরবাসী যাবে কোথায়?
“শহরে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির গাড়ি চলাচল করে। যাত্রীরা যেসব স্থানে নামবে, সেখানে কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এটাতে আধুনিক নগরীর পর্যায়ে পড়ে না। অথচ আমরা চট্টগ্রামকে তিলোত্তমা প্রাচ্যের রানি বলছি।”
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যানবাহন ও সড়কে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান মেয়র।
তিনি বলেন, “শহরে যত ধরনের যানবাহন চলাচল করে সেগুলোর আকার-আকৃতি নির্ণয় করে সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পার্কিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
“এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয় ব্যতিত যানবহানের শৃঙ্খলা আনা অসম্ভব।”
ফুটপাতে পথচারী চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, “বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হকাররা ফুটপাতে বসবে। পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ফুটপাতের একটি অংশ উন্মুক্ত রাখা হবে।”
নাছির বলেন, “এই শহর আমাদের। শহরকে আমাদেরই সাজিয়ে তুলতে হবে। শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
“মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে। নগরবাসীর প্রত্যাশাও অনেকগুণ বেড়েছে। শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, আবাসন গড়ে উঠলেও শহরের পরিধি বাড়েনি।”
সভায় চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, আইইবির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য এম এ রশিদ, প্রকৌশলী মো. হারুন, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, সিডিএ’র নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, এইচ এম সোহেল, সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।