এর অংশ হিসেবে বন্দরে বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখার পাশাপশি বন্দর জেটি এলাকার জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলাসহ সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর আমরা এখানে নিজেদের সতর্কতা হিসেবে ৩ নম্বর অ্যালার্ট জারি করেছি।”
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই আমরা নিচ্ছি। বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে মালামাল খালাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২১টি জাহাজ বন্দর এলাকায় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “সেগুলোকে বহির্নোঙ্গরে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলার পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সবসময় ইঞ্জিন চালু রাখতে বলা হয়েছে।”
তিন নম্বর সতর্কতা জারি করায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোতে সীমিত পর্যায়ে পণ্য হ্যান্ডলিং কার্যক্রম চলছে বলে বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর মহাবিপদ সংকেত জারি করলে তখন চট্টগ্রাম বন্দরে চার মাত্রার সতর্কতা জারি করা হতে পারে। এর অর্থ হল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।