এবছরই নৌযানটির বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং বিক্রি শুরুর কথা জানিয়েছে উদ্যোক্তা ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ড ও রহিম আফরোজ রিনিউএবল এনার্জি লিমিটেড।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভস ম্যারি বলেন, “পরীক্ষামূলকভাবে কুড়িগ্রামের রৌমারিতে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে আমাদের যাত্রা শেষ হয়।
“দুটি উপকূলীয় ঝড় অতিক্রম করে আমাদের যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।”
ইভস ম্যারি বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই হাইব্রিড সোলার পাওয়ার্ড বোট ‘সানফ্লাওয়ার’।
সংবাদ সম্মেলনে রহিম আফরোজের ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল প্রজেক্টের প্রধান শেখ মনোয়ার আহমদ বলেন, এই নৌযানটির ইঞ্জিন, সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি সুবিধা দিচ্ছেন তারা।
পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ডে নির্মিত সাড়ে ১৬ ফুট দীর্ঘ ‘সানফ্লাওয়ার’ নৌকায় দুইজন যাত্রী চলাচল করতে পারেন।
শেখ মনোয়ার আহমদ বলেন, “একই প্রযুক্তিতে ৬০ ফুট দীর্ঘ নৌকাও তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি ১০ থেকে ৫০ জন ধারণ ক্ষমতার নৌকাও তৈরি করা যাবে।”
আগামী বছর আট থেকে ১০ জন ধারণক্ষমতার নৌকা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
চলতি বছরেই এই ধরনের নৌকা বাণিজ্যিকভাবে তৈরি ও বিক্রি করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
“তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডে নির্মিত বেশকিছু নৌকা ও কায়াক কাপ্তাই ও রাঙামাটি অংশের কর্ণফুলী নদীতে চলাচল করছে,” বলেন শেখ মনোয়ার আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষামূলক যাত্রার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন সানফ্লাওয়ারের ক্রু দর্পন চাকমা।