শনিবার বিকালে নগরীর সদরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদ কার্যক্রমের পূর্বপরিস্থিতি দেখতে এসে মন্ত্রী বলেন, “কর্ণফুলী আমাদের চট্টগ্রামের সম্পদ। যেভাবে হোক দলমত সবার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের এটিকে রক্ষা করতে হবে। কারণ কর্ণফুলী নদী বাঁচলেই চট্টগ্রাম বাঁচবে। না হলে কিছুই করার নেই।”
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এখন কাজ দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন কথা বেশি বলে লাভ নেই।”
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে আগামী সোমবার থেকে চট্টগ্রামের প্রাণ খ্যাত কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা ২১১২টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
এ অভিযানের সমন্বয় করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান মুক্ত।
পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে শুরু করে মোহরা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর দুই পাশে এসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। নদীর উত্তর পাড়ের স্থাপনার অধিকাংশই চট্টগ্রাম মাহনগরের মধ্যে হলেও দক্ষিণ তীরের অংশেরগুলোর বেশিরভাগই কর্ণফুলী উপজেলার মধ্যে।
উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরো এলাকাটিকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রথম জোনে দুইশ স্থাপনার মতো ভাঙলে ১০ একরের মতো জায়গা আমাদের পুনরুদ্ধার হবে। যাদের স্থাপনা এখানে রয়েছে তারা আগে থেকেই মানসিকভাবে জানেন। সে কারণে তারা ২১৫ সাল থেকে নতুন করে স্থায়ী কোনো স্থাপনা করেননি।”
সরকারি-বেসরকারি কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে অনেক কল এসেছে, রিকোয়েস্টও এসেছে। আমরা তাদের দীর্ঘ সময় দিয়েছি। এখন আর কিছুই করার নেই। সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করছি। রোববার পর্যন্ত সময় আছে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য।”
কর্ণফুলীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।