কর্ণফুলী তীর দখলমুক্ত করতে কোনো ছাড় নয়: ভূমিমন্ত্রী

কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2019, 02:57 PM
Updated : 2 Feb 2019, 02:57 PM

শনিবার বিকালে নগরীর সদরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদ কার্যক্রমের পূর্বপরিস্থিতি দেখতে এসে মন্ত্রী বলেন, “কর্ণফুলী আমাদের চট্টগ্রামের সম্পদ। যেভাবে হোক দলমত সবার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের এটিকে রক্ষা করতে হবে। কারণ কর্ণফুলী নদী বাঁচলেই চট্টগ্রাম বাঁচবে। না হলে কিছুই করার নেই।”

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এখন কাজ দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন কথা বেশি বলে লাভ নেই।”

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ শনিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর নদীর আশপাশ ঘুরে দেখেন। সোমবার থেকে সেখানকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ছবি: সুমন বাবু

স্থাপনা উচ্ছেদে প্রভাবশালীদের কোনো চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নে চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকার সংসদ সদস্য জাবেদ বলেন, “কোনো প্রভাবশালী নেই, প্রভাবশালী বলতে আমি কিছু বুঝি না। সরকারে চেয়ে বড় প্রভাবশালী কে?”

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে আগামী সোমবার থেকে চট্টগ্রামের প্রাণ খ্যাত কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা ২১১২টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

এ অভিযানের সমন্বয় করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান মুক্ত।

পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে শুরু করে মোহরা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর দুই পাশে এসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। নদীর উত্তর পাড়ের স্থাপনার অধিকাংশই চট্টগ্রাম মাহনগরের মধ্যে হলেও দক্ষিণ তীরের অংশেরগুলোর বেশিরভাগই কর্ণফুলী উপজেলার মধ্যে। 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ শনিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর নদীর আশপাশ ঘুরে দেখেন। সোমবার থেকে সেখানকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ছবি: সুমন বাবু

ভূমিমন্ত্রী  সাইফুজ্জামান বলেন, সোমবার থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে।

উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরো এলাকাটিকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রথম জোনে দুইশ স্থাপনার মতো ভাঙলে ১০ একরের মতো জায়গা আমাদের পুনরুদ্ধার হবে। যাদের স্থাপনা এখানে রয়েছে তারা আগে থেকেই মানসিকভাবে জানেন। সে কারণে তারা ২১৫ সাল থেকে নতুন করে স্থায়ী কোনো স্থাপনা করেননি।”

সরকারি-বেসরকারি কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে অনেক কল এসেছে, রিকোয়েস্টও এসেছে। আমরা তাদের দীর্ঘ সময় দিয়েছি। এখন আর কিছুই করার নেই। সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করছি। রোববার পর্যন্ত সময় আছে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য।”

কর্ণফুলীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।