বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঘণ্টাব্যাপী ইপিজেড থানাধীন নারিকেল তলা এলাকার মহাজনঘাটায় রাস্তায় দোকান বসানো নিয়ে এ সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ইপিজেড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওসমান গণি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখার জেরে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত এবং একজনের আঙুল হারানোর তথ্য পাওয়ার কথা জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তায় দোকান বসানো নিয়ে ওই এলাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসলাম হোসেন ও তার অনুসারীদের সঙ্গে ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমানের বিরোধে এই সংঘর্ষ হয়। আসলামের অনুসারীরা হারুণ-সাদেকের নেতৃত্বে লোকমানের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
বাম হাতের বুড়ো আঙুল হারানো লোকমানকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত আরও তিনজন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সংঘর্ষের বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ওসমান গণি বলেন, অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি।