শুক্রবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার চৈতন্য গলি এলাকা থেকে টিংকু দাশসহ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছেন।
টিংকু চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে মানুষ হত্যাসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
ওসি মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল চৈতন্য গলি এলাকায় 'জিয়ার স্পট' নামে একটি মাদক আস্তানায় অভিযান চালায়।
“সেখানে টিংকুসহ কয়েকজন বসে ইয়াবা সেবন করছিলেন। এ সময় স্পট থেকে কয়েকজনকে আটক করা হলে টিংকু ভবন থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।”
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “টিংকুর কাছে ১০টি ইয়াবা পাওয়া গেছে।”
২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে এক লেগুনা চালক নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি ছিলেন টিংকু দাশ। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তাররা জবানবন্দিতে ‘তার নির্দেশে’ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের কথা উল্লেখ করে।
এদিকে নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মো. শাব্বির (৩০) নামের ওই যুবক আন্তর্জাতিক ইয়াবা কারবারি বলে পুলিশের দাবি। টেকনাফের পাল্লান পাড়ার বাসিন্দা এ যুবক ‘বার্মা শাব্বির’ নামে পরিচিত।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) মঈনুল ইসলাম বলেন, “শাব্বির ইয়াবার আন্তর্জাতিক কারবারি। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও পাচার করে।
“জাহাঙ্গীর নামে কুমিল্লার এক ব্যক্তি শাব্বিরের ব্যবসায়িক পার্টনার। তার মাধ্যমে সে ভারতে ইয়াবা পাচার করে। আমরা তাকে ধরতেও অভিযান চালাচ্ছি ।”
তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে শাব্বির জানিয়েছে বেশ কিছু নারীও আছে তার গ্রুপে। যাদের শরীরের ভেতরে করে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লায় ইয়াবা পাচার করা হয়ে থাকে।”