সোমবার নগর বিএনপির পক্ষ থেকে ওই চিঠি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়। শাহাদাত রোববার আদালতে এলে চিঠিটি হস্তান্তর করেন বলে বিএনপি নেতারা জানান।
প্যাডের কাগজে সাত পৃষ্ঠাজুড়ে লেখা চিঠিটির নিচে শাহাদাতের স্বাক্ষরও রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার কয়েকটি মামলায় উনাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তিনি কারাগারে বসে লেখা চিঠিটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি বলেছেন, চিঠিটি গণমাধ্যমকে পৌঁছে দিতে।”
নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। রোববার বাছাইয়ে তার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।
নাশকতা, বিস্ফোরক এবং পুলিশের ওপর হামলাসহ মোট ৪৫টি মামলা আছে পেশায় চিকিৎসক শাহাদাতের বিরুদ্ধে। ৭ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
‘আমি জেল থেকে বলছি’ শিরোনামের ওই চিঠিতে শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমি চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের প্রার্থী। চট্টগ্রাম কারাগারের নির্জন সেল থেকে আপনাদের কাছে আমি কিছু কথা তুলে ধরছি।
“এমন একটি সময় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় যখন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট আওয়ামী লীগ মহাজোটের সাথে সংলাপ শেষে ওবায়দুল কাদের ঘোষণা করেন, বিরোধী দলের কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হবে না। কারও বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দেওয়া হবে না।”
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতির কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শাহাদাত।
গ্রেপ্তারের পর কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও সবশেষে চট্টগ্রামের কারাগারে আনা এবং এরমধ্যে তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ‘দেওয়া হয়’ বলে চিঠিতে দাবি করেন তিনি।
চিঠির শেষাংশে শাহাদাত চট্টগ্রাম-৯ আসনের ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “অনুরোধ থাকবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আপনাদের সাংবিধানিক ভোটের অধিকার নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করুন।
“ধানের শীষ প্রতীকে আপনার একটি মূল্যবান ভোট অন্ধকার কারাগার থেকে আমাদের দেশমাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আমিসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী গায়েবী মামলার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি আছি- তাদের মুক্তির পথ দেখাবে।”