চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৮ নভেম্বর ৫৫ বেল তুলা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গাজীপুরের বসুয়া টেক্সটাইল মিলে যাওয়ার জন্য জসীমের কভার্ডভ্যান ভাড়া নিয়েছিল চট্টগ্রামের দি রোজ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের মালিক মাহবুবর রহমান।”
পরদিন কভার্ডভ্যানটি বসুয়া টেক্সটাইল মিলে না পৌঁছানোর কারণে চালক জসীমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান মাহবুবর।
এরপর পাহাড়তলী থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
ওসি বলেন, “অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে নারায়ণগঞ্জ থেকে জসীমকে গ্রেপ্তার করে এবং ঢাকার ধামরাই থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় খালি কভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে।”
পুলিশি জেরার এক পর্যায়ে সাইফুল ও ওয়ারেছের সহায়তায় তুলাগুলো বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন জসীম।
তার স্বীকারোক্তি পেয়ে সাইফুল ও ওয়ারেছকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি সদীপ কুমার দাশ।
“সাইফুল ও ওয়ারেছ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তুলা নিয়ে গাজীপুর না গিয়ে তারা সানোয়ারের মাধ্যমে তুলাগুলো ঢাকায় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।”
সানোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তুলাগুলোর ক্রেতা রনজুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সদীপ কুমার দাশ বলেন, “রনজু গাজীপুরের রামিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাকে গ্রেপ্তারের পর তার প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে কোনো তুলা পাওয়া যায়নি। তুলাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রনজু।”
ওসি বলেন, লোপাট করা তুলার আনুমানিক বাজার দর ৩৫ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।