বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের সামনে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ‘বিজয়’ ও ‘সিএফসি’ গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় ষোষণার পর বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করে ‘বিজয়’ গ্রুপের সদস্যরা।
মিছিলটি কলা অনুষদের প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ‘সিএফসি’ গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পরে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দিলে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হলে ও সিএফসি গ্রুপ শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়।
শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছেন ছাত্রলীগ নেতারা। সংঘর্ষে জড়ানো সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক টিপু সুলতান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সংঘর্ষে আহত আটজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টা-পাল্টি দোষারোপ করেছে।
আর সিএফসি গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান বলেন, “আমরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমরা তাদের প্রতিহত করি।”