ওই গৃহিনী খুন হলেও তার ঘর থেকে কিছুই খোয়া যায়নি। এমনকি আগের দিন স্বজনদের দেওয়া কিছু তথ্যের সত্যতাও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত বুধবার নগরীর ফরিদার পাড়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিবি রহিমার (২৭) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রহিমা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক এহতেশামুল পারভেজ সিদ্দিকী জুয়েলের স্ত্রী। তাদের দুই বছর নয় মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান আছে।
নিহতের মা বেদোরা বেগম বৃহস্পতিবার নগরীর চান্দগাঁও থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন বলে নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দেবদূত মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বশর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিবি রহিমার হাত-পা ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। কিন্তু আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তার হাত-পা মৃত্যুর আগে বাঁধা হয়নি। এটা করা হয়েছে তার মৃত্যুর পর।”
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বিবি রহিমার নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া ছাড়া আর কোনো আঘাতের চিহ্ন শরীরে ছিল না। ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে রহিমাকে হত্যা করা হয়।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে বাসায় ফিরে আইনজীবী জুয়েল ঘরে তার স্ত্রীর লাশ দেখতে পান বলে জানিয়েছিলেন।
তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, তার ঘর থেকে টিভি কার্ড লাগানো একটি মনিটর খোয়া গেছে।
জুয়েলের ভাবিও দাবি করেছিলেন, জুয়েলের ভাড়া ঘরে থাকা দুজন রং মিস্ত্রিকে তিনি দুপুরের দিকে ব্যাগ নিয়ে চলে যেতে দেখেন।
ওসি আবুল বশর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই বাসা থেকে কিছুই খোয়া যায়নি। যে দু’জন ভাড়াটিয়ার কথা বলা হয়েছে তারা নিতান্ত দরিদ্র রংমিস্ত্রি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাড়া বাসায় ফিরেছে। তারা কিছুই জানে না।”
তিনি বলেন, “কোনো ব্যক্তিগত কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
নগরীর ফরিদের পাড়ার যে বাসা থেকে বিবি রহিমার লাশ উদ্ধার করা হয় সেটি আইনজীবী জুয়েলের পৈত্রিক জমি। পাশের বাসাটি জুয়েলের মেজ ভাই রাসেলের।
জুয়েলের দুই কক্ষের বাসার পিছনে টিনশেড কয়েকটি ঘর আছে। তার একটিতে দুই রংমিস্ত্রি ভাড়া থাকেন।
ওসি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।