রোববার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লায় জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়।
বাবা তৈয়ব সিদ্দিকীর অভিযোগ, সেবিকা অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ায় তার মেয়ের মৃত্যু ঘটেছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুটি জন্মের পর থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। অক্সিজেন মাস্ক খুলে যাওয়া কোনো কারণ নয়।
ব্যবসায়ী তৈয়ব সিদ্দিকী চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খরণদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা। তৈয়ব সিদ্দিকী ও আফরোজা সুলতানা দম্পতির প্রথম সন্তান ছিল মেয়ে শিশুটি।
বৃহস্পতিবার আফরোজা হাসপাতালে ভর্তির পর শুক্রবার সকালে কন্যা সন্তানটির জন্ম হয়।
তৈয়ব সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তখন সে সুস্থ ছিল। আমরা বারবার জানতে চাইলেও তখন বলা হয়েছিল, মা ও মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছে। শিশুটির বুকে একটু কফ আসছে বলে অক্সিজেন দেওয়া হয়। প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক লিখে দেন- অক্সিজেন চলবে।
“আজ ভোর ৬টায় শিশু ওয়ার্ডের যে নার্স ছিলেন, তিনি চলে যাওয়ার সময় অক্সিজেন খুলে দেন। এরপর তার কষ্ট হচ্ছিল। আমরা জানানোর পর শিশুটিকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর তারা জানায়, আমার সন্তান মারা গেছে।”
এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কয়েকজন বৈঠক করে এবং তার কাছে ‘ক্ষমা চায়’ বলেও জানান তৈয়ব সিদ্দিকী।
রোববার বিকালে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন তৈয়ব সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “আমি এখন শহরে ফিরছি। কী করব, সেটা আপনাদের জানাব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গর্ভাবস্থায় শিশুটি মল খেয়ে ফেলায় তার ফুসফুসে মল ঢুকে গিয়েছিল।
“জন্মের পর থেকেই শিশুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। একারণে স্পেশাল চাইল্ড কেয়ার ওয়ার্ডে রাখা হয়। এধরনের নবজাতক সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ।”
অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ার বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অক্সিজেন জরুরি সময়ে সাপোর্টিং হিসেবে দেওয়া হয়। অক্সিজেন কি কাউকে সবসময় দিয়ে রাখা হয়? প্রয়োজনে দেওয়া হয়।”