তিনি হলেন- চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি এবং মোহরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজম।
শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার দলীয় পদ স্থগিতের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, “দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক আপনাকে বিএনপির চান্দগাঁও থানা শাখার সভাপতি ও প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হল।”
ওই চিঠির অনুলিপি দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
গত ১৭ মার্চ নগরীর মোহরায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) পরিচালানাধীন সিডিএ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক আওয়ামী লীগ নেতার সাথে জাতির জনকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মো. আজম।
তবে মো. আজমের দাবি, স্কুলটির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের ওই আলোচনা সভার পর একই মঞ্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার সময় ছালামের পাশেই ছিলেন বিএনপি নেতা আজম। সভায় বক্তব্যও রেখেছিলেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানের একটি ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ১৮ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে মো. আজমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।