সোমবার বিকালে নগরীর মুসলিম ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণ সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণার পরপরই মঞ্চের সামনে ডানদিকে থাকা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সুদীপ্ত হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান শুরু করে।
সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বক্তব্যের সময়ও স্লোগান চলতে থাকে।
ওবায়দুল কাদের বক্তৃতার শুরুতে বলেন, “যে বিষয়টা নিয়ে এখানে তোমরা স্লোগান দিচ্ছ। তোমাদের একটা আবেগ, সেন্টিমেন্ট আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা প্রয়াত নেতা শ্রদ্ধেয় আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণ সভা। তোমাদের এ নিয়ে কোনো কথা থাকলে অমার সাথে পরে কথা বলতে পারবে।”
তার এই কথার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আবার স্লোগান দিতে শুরু করে। এরপর সুদীপ্ত হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য দেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
“আমি অলরেডি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশের হেডকোয়ার্টার, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, প্রশাসন সবাইকে বলেছি, যারাই হত্যাকারী হোক, গ্রেপ্তার করতে হবে। শাস্তি দিতে হবে। বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।”
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগে কোন্দলের বিষয়ে তিনি বলেন, উপযুক্ত বিচার-শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কমে যাবে।
‘অনুগতদের সামলান’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের নির্বাচনের আগে কর্মীদের সামলে রাখতে দলীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সামনের বছর নির্বাচন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ব দেখছে। প্লিজ উন্নয়নকে খারাপ আচরণ দিয়ে তোমরা ঢেকে ফেলবে না।
“ধৈর্য ধর, ঠাণ্ডা মাথায় অগ্রসর হও। তোমাদের একটা ভুল গোটা পার্টির জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে।”
নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অনুগতদের আপনারা একটু সামলান। কত উন্নয়ন চট্টগ্রামে। অথচ খারাপ আচরণ সব ম্লান করে দিতে পারে।
“শপথ কর, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তোমরা এক থাকবে। কেউ অন্যায় করলে তার বিচার পার্টিতেও হবে, প্রশাসনিকভাবেও হবে। যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সভায় নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন না।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির আয়োজনে এ স্মরণ সভায় শুরু থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিল বেশি।
উত্তর জেলার সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে সাংসদ ওয়াসিকা আয়শা খান, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।