ঢাকা-চট্টগ্রাম পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: কাদের

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২২৫ কিলোমিটার এলাকা ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2016, 03:36 PM
Updated : 30 March 2016, 07:33 PM

বুধবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

কাদের জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোর লাইনের কাজ প্রায় শেষ। আগামী মে-জুন মাসের দিকে প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করবেন।

“তবে আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২২৫ কিলোমিটার পুরোটাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার।”

২০০৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা-সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত। আর ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা।

অবশ্য পরে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই সময়সীমা ২০১২ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়। এ সময় প্রকল্পটির ব্যয় ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকায় উন্নীত করে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ডিটেইল ডিজাইনিং কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের শুরুতেই এই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত সম্ভব হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগে ৩০ শতাংশ এলিভেটেড এবং ৭০ শতাংশ গ্রাউন্ডেড (ভূ-সংলগ্ন) সড়ক হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পুরোটায় এলিভেটেড হবে।”

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি জানান, অল্প কিছু দিনের মধ্যে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

কর্ণফুলী টানেলের প্রস্তুতি কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

কাদের বলেন, “একনেক ও পারসেস কমিটিতে টানেলের বিষয়টি পাস হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে চায়না এক্সিম ব্যাংকের সাথে ‘লোন অ্যাগ্রিমেন্ট’ হবে। এরপরপরই টানেলের কাজ শুরু হবে।”

মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডিজ চলছে, অর্থায়নে কোন সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার একনেকের সভায় রুমা-বগালেক-কেওকারাডং সংযোগ সড়ক প্রকল্প পাশ হয়েছে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাজেক, নীলগিড়ির মতো জায়গাগুলোকে কানেটিভিটির আওতায় আনা হবে।