চট্টগ্রাম নৌঘাঁটির মসজিদে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, আহত ৬

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাঁটি ঈশা খাঁ’র মসজিদে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে ছয়জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2015, 10:33 AM
Updated : 18 Dec 2015, 04:02 PM

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ওই মসজিদে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

“মসজিদে বাহিরের মুসল্লিরাও নামাজ পড়তে আসে। উক্ত বিস্ফোরণে ৫/৬ জন সামান্য আহত হয়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে ছেড়ে দেয়া হয়।”

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অবিস্ফোরিত আরও কয়েকটি বিস্ফোরকসহ একজনকে আটক করা হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।

“এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত চলছে।”

দুপুরে বিস্ফোরণের ঘটনার পর চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ খবর প্রকাশ করে।

তবে সে সময় নৌবাহিনী বা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে সন্ধ্যার পর।

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঈশা খাঁ ঘাঁটির মূল ফটক ও হাসপাতাল গেইটে পৌঁছালেও তাদের আটকে দেওয়া হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

পরে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। চলে যান। সব কিছু ঢাকা থেকে জানানো হবে। এখানে কেউ কিছু বলবে না।”

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল ও অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য্য, গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) কুসুম দেওয়ান, উপ কমিশনার (বন্দর) মোক্তার আহমেদ, নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া, সহকারী কমিশনার (বন্দর) জাহিদুল ইসলাম, র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন এবং ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম বিস্ফোরণের খবর পেয়ে নৌ ঘাঁটিতে যান।

এছাড়া ঘটনার পরপরই একটি গাড়িতে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা এবং সেনাবাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘাঁটিতে যায়।

বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা নৌঘাঁটির ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।