চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণে ‘ছাড়পত্রের’ বাধা কাটল

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন সড়ক তৈরিতে আগ্রহী হওয়ায় ‘প্রস্তাবিত’ বে-টার্মিনাল নির্মাণে ছাড়পত্র দিতে রাজি হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2015, 07:39 AM
Updated : 7 Dec 2015, 07:57 AM

রোববার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য নতুন বিকল্প সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব দিলে এক বছর ধরে ঝুলে থাকা জটিলতার অবসানের সুযোগ তৈরি হয়।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষ আলাদা সড়কের প্রস্তাব করেছে। তারা সিডিএর বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোড ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছে। এখন বে-টার্মিনালের জন্য দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হবে।”

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের খেঁজুরতলার বিপরীত থেকে কাট্টলী পর্যন্ত অংশে পলি জমে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চর সৃষ্টি হয়েছে। এই চরেই বে-টার্মিনাল নির্মাণ করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই চর ও উপকূলের মাঝামাঝি প্রায় ৮০০ মিটার প্রশস্ত জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি হয়েছে। এই পথের গভীরতা ছয় থেকে নয় মিটার পর্যন্ত। খনন করলে এই পথে ১০ মিটার ড্রাফট (জাহাজের পানিতে নিমজ্জিত অংশের গভীরতা) ও ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ চালানো সম্ভব।

কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ সিডিএর বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোড ব্যবহার করতে চাওয়ায় বে-টার্মিনাল নির্মাণের ছাড়পত্র নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে দুই কর্তৃপক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল।

আবদুচ ছালাম বলেন, “ছাড়পত্র দিতে আমরা আগেই সম্মত ছিলাম। শুধু সড়ক ব্যবহার নিয়ে আপত্তি ছিল। কর্ণফুলীতে টানেল নির্মাণ হলে আউটার রিং রোড অ্যাপ্রোচ সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এই সড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতেই আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম।

“বন্দর কর্তৃপক্ষ আগে আউটার রিং রোড ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু রোববার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে পৃথক সড়ক নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত সড়ক যেসব স্থানে আউটার রিং রোডকে অতিক্রম করবে, সেখানে ওভার পাসেরও প্রস্তাব আছে। এটি কার্যকর এবং বাস্তবসম্মত বলেই আমাদের মনে হয়েছে।”

চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে দিনে জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা সময়ে নয় দশমিক ৫০ মিটার ড্রাফট ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ চলাচল করতে পারে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে দিনে-রাতের যে কোনো সময়ে এর চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্য ও ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে।

ছাড়পত্র পাওয়ার পর বে-টার্মিনালের পশ্চাৎ ভূমির (হিন্টার ল্যান্ড) জন্য প্রায় ৯০৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।