বিধি লঙ্ঘন: নির্বাচনের এক মাস পর নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

ভোটের আগে নৌকার প্রার্থী নেজামুদ্দিন নদভী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2024, 10:31 AM
Updated : 7 Feb 2024, 10:31 AM

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল আগেই, তবে সেই অভিযোগে মামলা হল নির্বাচনের এক মাস পর।

বুধবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করে দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। মামলার শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে ২৬ জুন।”

মামলার বাদী সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকল চাকমা বলেন, “নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছে। সে অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।”

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নদভীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেব। নির্বাচনের আগে নদভী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। ২ জানুয়ারি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় নৌকার প্রার্থী নদভী প্রচারকালে সমাবেশে চুনতি মাদ্রাসার জন্য এক কোটি টাকার অনুদানের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ওই সমাবেশে তিনি দলীয় এক সমর্থকের ছেলেকে চাকরির ঘোষণা এবং অন্য এক সমাবেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপের ঘোষণা দেন।

আরো বলা হয়, অপর একটি সমাবেশে নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে ভোটাররা ‘গোনাহগার’ হবেন বলে মন্তব্য করেন তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা পুটিবিলা। তিনি তাঁতীপাড়ায় ২ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।

এছাড়া রিজিয়া রেজা মাস্টারহাটে এক উঠান বৈঠকে ‘সওয়াব কামানোর জন্য, কিয়ামতের মাঠ, পুলসিরাত ও হাসরের মাঠ পার হওয়ার জন্য নৌকায় ভোট দেওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেন।

এসব অভিযোগ নিয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নোটিস দিলে ৪ জানুয়ারি হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন নদভী ও তার স্ত্রী।

কমিটি তাদের অনুসন্ধানে নদভী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পায়। এরপর গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরতি এক চিঠিতে এ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রায় ২৭ দিন পর মামলা হল। নথিপত্র পর্যালোচনা করে মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।