পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া আটটি পিস্তল, দুইটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএমজি, ছয়টি শটগান ও ৩৫টি মোটরসাইকেলের কোনো হদিস নেই।
Published : 04 Nov 2024, 05:39 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে দুটি মোটরসাইকেল।
সোমবার নগরীর পাহাড়তলী থানার বিটাক বাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণ পুকুরে পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর পাহাড়তলী থানায় অস্ত্র ও মোটরসাইকেল লুটপাটের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ও কিছু মোটরসাইকেল বিটাক বাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণ পুকুরে ফেলা হয়েছে। সে তথ্যে পুকুরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। দুটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।”
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশান্তরী হন শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মত চট্টগ্রামেও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়।
জ্বালিয়ে দেয়া হয় কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, ইপিজেড থানা। লুটপাট হয়েছে অস্ত্রাগার, মালখানা। কোতোয়ালী, পাহাড়তলী থানা ভবনের অবকাঠামো ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। আর পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানা একেবারেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারেক আজিজ বলেন, পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া আটটি পিস্তল, দুইটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএমজি, ছয়টি শটগান ও ৩৫টি মোটর সাইকেলের কোনো হদিস নেই।
মূলত লুট হওয়া এসব মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার আসামি ব্রাহ্মণ পুকুরে অস্ত্র থাকার কথা জানালেও সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাকে থানায় নিয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আরেকটি স্থানের নাম উল্লেখ করেছে। সেখানেও পুলিশ অভিযান চালাবে।”
তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামের থানাগুলো এখন ধ্বংসস্তুপ
চট্টগ্রামে এখনও ২ শতাধিক অস্ত্রের হদিস নেই