‘২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির আত্মপরিচয়ের সাহসী ঠিকানা’

সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ছোবল মারতে চায় বলে উল্লেখ করেন অনুপম সেন।

একুশের অবিনাশী চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে রুখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন।

মঙ্গলবার বিকালে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ভাষা শহীদদের স্মরণানুষ্ঠান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ '৭১ এর উদ‍্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন বলেন, “১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক দিনটি বাঙালির আত্মপরিচয়ের সাহসী ঠিকানা। অমর একুশের পথ ধরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অসমসাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, সর্বপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে বাঙালির বিজয় অর্জিত হয়েছে।

“বিশ্বের ইতিহাসে বাঙালিই একমাত্র জাতি, যারা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার রক্ষায় জীবন দিয়েছে। আজও বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি।”

সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ছোবল মারতে চায় উল্লেখ করে অনুপম সেন বলেন, “এহেন ঘৃণ্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে সজাগ ও সচেষ্ট থেকে একুশের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।”

সংগঠনের মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ক্রিয়েটিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জাহিদ হোসেন শরীফ, সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি নুরুল আলম মন্টু, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান এম এ রশীদ।

প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, স্বাধীন বাংলা বেতারের কন্ঠশিল্পী জয়ন্তী লালা, সিরাজ উদ্দৌলাহ্ চৌধুরী, আবু বক্কর সিদ্দিকী, লেয়াকত হোসেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক খান, সাহেদ মুরাদ শাকু, নারী সম্পাদক সাইফুন নাহার খুশী প্রমুখ।