‘দুর্গোৎসবের আগে সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা দেখা যাচ্ছে’

পূজার আগ মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে হামলা ও বিগ্রহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করা হয়।

শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে যাতে ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ তৈরি না হয়- তা নিশ্চিতে ছাত্র-যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে চট্টগ্রামের এক সমাবেশ থেকে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ বলেন, “আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ও নির্বাচন পূর্বাপর সাম্প্রদায়িকতার অপতৎপরতা প্রকাশ্যে দৃশ্যমান। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কর্মকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে বিনষ্ট করছে।

“মুন্সীগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লব কর্তৃক প্রকাশ্য সমাবেশে স্থানীয় সাংসদ মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ করেছেন। কুমিল্লার সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক শারদীয় দুর্গা পূজাকে কটাক্ষ করে পূজার্থী জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে।”

পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ বলেন, “কয়েকদিন আগে কুড়িগ্রামে চারণ কবি রাধাপদ রায়ের উপর হামলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পূজার প্রাক্কালে অব্যাহতভাবে মন্দিরে হামলা ও বিগ্রহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

“তাই আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবে সাম্প্রদায়িক তৎপরতা প্রতিহত করতে ছাত্র-যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”

চট্টগ্রাম মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি রুবেল পালের সভাপতিত্বে ও মহানগর ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত দত্ত ঋজুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালিত, সুমন কান্তি দে, সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন কান্তি দে, সদস্য সুকান্ত দত্ত ও মৌসুমী চৌধুরী।