‘পিটিয়ে হত্যার’ মামলায় মা-বাবা ও ছেলে গ্রেপ্তার

রাজশাহীর এ ঘটনায় তাদের চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়; গ্রেপ্তার নাহিদের বোনও আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2022, 02:22 PM
Updated : 14 August 2022, 02:22 PM

রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে ‘পিটিয়ে হত্যা’ মামলার তিন পলাতক আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব; যারা সম্পর্কে মা-বাবা ও ছেলে।

রোববার র‌্যাব ৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার মাদাম বিবির হাট থেকে শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নাহিদ হোসেন (২০), তার বাবা বকুল আলী (৪৫) ও মা মোছাম্মৎ আমেনা (৪০)। এ ঘটনায় বকুলের বোন খাদিজাসহ পাঁচজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ৭ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, গত ১ অগাস্ট রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইংয়ে প্রতিবেশীর হামলায় মুকুল আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এরপর ৪ অগাস্ট থেকে সীতাকুণ্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন গ্রেপ্তাররা।

এ ঘটনায় নিহত মুকুলের ছেলে শাহ মখদুম থানায় প্রতিবেশী পরিবারটির গ্রেপ্তার চারজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পরই স্থানীয় থানা পুলিশ বকুলের মেয়ে খাদিজাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেও তারা তিনজন পালিয়ে যায় বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার বকুল আলীর প্রতিবেশী ছিলেন মুকুল। ১০/১৫ বছর ধরে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল; যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত ১ অগাস্ট রাতে নিজের ঘরে উচ্চ স্বরে গান শুনছিলেন নাহিদ। বাসায় থাকা অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সমস্যা হওয়ায় নাহিদকে গিয়ে সাউন্ড কমাতে বলেন প্রতিবেশী মুকুল। এসময় নাহিদ সাউন্ড কমালেও মুকুল ফিরে যাওয়ার পর আবার বাড়িয়ে দেয়।

“পুনরায় গিয়ে সাউন্ড কমানোর জন্য রাগারাগি করায় নাহিদ ও তার বাবা বকুলের সঙ্গে মুকুলের হাতাহাতি হয়। এসময় বকুল ও তার স্ত্রী আমেনা, মেয়ে খাদিজা এবং নাহিদ মিলে জিআই পাইপ দিয়ে মুকুলকে পেটানো শুরু করে। এক পর্যায়ে বকুল নাহিদকে ঘর থেকে লাঠি আনতে বললে সে ছুরি নিয়ে মুকুলের পেট ও শরীরে ছুরিকাঘাত করে।“

ওই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, মুকুলের চিৎকার শুনে তার ছেলে ও মেয়ের জামাই রক্ষা করতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মুকুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান।