দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এ যেন ‘রথ দেখার সঙ্গে কলা বেচা।’ মূলত অনুশীলন করতেই সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করছে বাংলাদেশ। স্থানীয় বোর্ডের আগ্রহে খেলছে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তাতে সেরা কম্বিনেশনের সন্ধানে থাকা বাংলাদেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাচ্ছে আরও দুটি ম্যাচ।
এর প্রথমটিতে রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
সিপিএলে খেলায় এই সিরিজে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন চোট কাটিয়ে ফেরা নুরুল হাসান সোহান।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে লক্ষ্য সব সময়ই থাকে জয়। এখানেও এর ব্যতিক্রম দেখেন না এই কিপার-ব্যাটসম্যান। তবে তিনি জানান, নিজেদের সেরা কম্বিনেশন বের করার দিকেও থাকবে তাদের মনোযোগ।
“এখানে দুটি ম্যাচ আছে, নিউ জিল্যান্ডে খেলা আছে (ত্রিদেশীয় সিরিজ)। আমাদের সেরা কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা করা হবে, যেন বিশ্বকাপে ব্যালান্সড দল পেয়ে যাই। বিশ্বকাপে একেক দিন একেক দলের সঙ্গে খেলা। (একাদশ) নির্ভর করবে সেদিনের পরিস্থিতি ও চাহিদার ওপর। এখানে ভালো সুযোগ সম্ভাব্য কম্বিনেশনগুলো পরীক্ষা করার।”
চোট কাটিয়ে অনুমিতভাবেই একাদশে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি। তাদের মতোই একাদশে জায়গা মিলেছে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের।
বাংলাদেশ একাদশ: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ।
এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে আরমিরাতের সবশেষ খেলা ম্যাচের ৯ জনই আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির দলে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একাদশ: সিপি রিজওয়ান (অধিনায়ক), ভ্রিতিয়া অরভিন্দ, চিরাগ সুরি, মুহাম্মদ ওয়াসিম, বাসিল হামিদ, আরিয়ান লাকরা, জাওয়ার ফরিদ, কার্তিক মিয়াপ্পান, জুনাইদ সিদ্দিক, সাবির আলি, আয়ান খান।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে খেলা ওপেনিং জুটি ভাঙেনি বাংলাদেশ। তবে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙে গেছে দ্বিতীয় ওভারেই।
সাবির আলির বল পুল করে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় পারেননি সাব্বির (৩ বলে শূন্য)। ধরা পড়েন সীমানায়।
এমনিতে ওপেনিংয়ে খেললেও লিটন দাস নেমেছেন তিনে।
১.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ১১/১।
চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে শুরুটা দারুণ করেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আয়ান আফজাল খানের বল লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় তুলে দেন আকাশে।
৮ বলে তিন চারে ১৩ রান করেন লিটন।
২.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৬। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। সাব্বির রহমান ও লিটন দাসের পর পাওয়ার প্লেতেই ফিরে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পঞ্চম ওভারে জাওয়ার ফরিদকে তুলে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ১৪ বলে দুই চারে মিরাজ করেন ১২।
৪.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩৫/৩। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী ইয়াসির আলি চৌধুরি।
বিবর্ণ পাওয়ার প্লে হতে পারত আরও খারাপ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের মতো বিদায় নিতে পারতেন আফিফ হোসেনও।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪২। রানের খাতা খুলতে পারেননি সাব্বির রহমার। দুই অঙ্কে গিয়ে থামেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
সাবির আলির করা ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নিতে পারতেন আফিফ। তবে ব্যক্তিগত ৬ রানে সীমানায় ক্যাচ দিয়েও ফিল্ডারের ব্যর্থতায় বেঁচে যান তিনি।
আফিফ ৮ বলে ৭ ও ইয়াসির ৩ বলে ১ রানে ব্যাট করেছন।
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর মাঠে ফেরা ইয়াসির আলি সুবিধা করতে পারেননি নিজের প্রথম ইনিংসে। লেগ স্পিনার কার্তিক মিয়াপ্পনের বলে ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে।
ইয়াসির খেলতে পারেন কেবল ৭ বল। করতে পারেন ৪ রান।
৭.১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪৭/৪। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।
নিয়মিত উইকেট হারানোয় কমে এসেছে রানের গতি। ইনিংসের মাঝপথে ভুগছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে কেবল ৬৭ রান।
আফিফ হোসেনকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারলেন না মোসাদ্দেক হোসেন। লেগ স্পিনার কার্তিক মিয়াপ্পনকে বেরিয়ে এসে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন স্টাম্পড হয়ে। ভাঙে ইনিংসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা- ২৩ বল স্থায়ী ৩০ রানের জুটি।
মোসাদ্দেক ৮ বলে করেন ৩।
১১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৭৭। ক্রিজে আফিফের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।
শুরুতেই একটা সুযোগ দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। বাউন্ডারিতে নাগালে থাকলেও ক্যাচ নিতে পারেননি ফিল্ডার। এরপর থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানছেন বাঁহাতি এই ব্যাটস্যান।
জাওয়ার ফরিদকে চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ৩৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন আফিফ, তার ক্যারিয়ারের তৃতীয়।
আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১১৪। ৩৯ বলে ৫১ রানে ব্যাট করছেন আফিফ। একটি করে ছক্কা ও চারে নুরুল হাসান সোহানের রান ১৭ বলে ১৯।
ইনিংসের শেষ পর্যায়ে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের জুটিতে পঞ্চাশ এলো ৩৭ বলে।
৬ রানের পর ৬৩ রানে আবার জীবন পেয়েছেন আফিফ হোসেন।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ১৩৪/৫।
দুইবার জীবন পাওয়া আফিফ হোসেন টানলেন দলকে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে বাংলাদেশকে এনে দিলেন লড়াই করার মতো সংগ্রহ।
২০১৯ সালে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। এত দিন সেটাই ছিল তার সর্বোচ্চ। সেটা ছাড়িয়ে এবার ৫৫ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে খেললেন ৭৭ রানের ইনিংস।
তার সঙ্গে ৫৪ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নুরুল হাসান সোহানের অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ৩৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (মিরাজ ১২, সাব্বির ০, লিটন ১৩, আফিফ ৭৭*, ইয়াসির ৪, মোসাদ্দেক ৩, সোহান ৩৫*; জুনাইদ ৪-০-৩৩-০, সাবির ৩-০-১৬-১, আয়ান ৩-০-১৬-১, ফরিদ ৪-০-৩৮-১, মিয়াপ্পান ৪-০-৩৩-২, হামিদ ২-০-১৬-০)
শরিফুল ইসলামের বল একদম সোজা ব্যাটে খেললেন চিরাগ সুরি। স্টাম্প সোজা বল ঠেকানোর চেষ্টায় কোনোমতে আঙুল ছোঁয়াতে পারলেন বাঁহাতি পেসার। বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকা মোহাম্মদ ওয়াসিম ফেরার কোনো সুযোগই পেলন না, আঘাত হানল স্টাম্পে!
বেলস পড়ে যাওয়া মাত্রই শরিফুল দেখাতে থাকেন, তার আঙুলে লেগেছে বল। ক্যামেরায় ঠিক মতো না আসায় নিশ্চিতভাবে বোঝা কঠিন ছিল। তবে থার্ড আম্পায়ার দিলেন আউট।
ওয়াসিম একটি করে ছক্কা ও চারে ১৫ বলে করেন ১৫।
৫ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রান ১ উইকেটে ২৯। ক্রিজে সুরির সঙ্গী আরিয়ান লাকরা।
রান তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৩ রান।
ষষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে টানা তিনটি চার হাঁকানো চিরাগ সুরি ১৭ বলে খেলছেন ২৬ রানে। তার সঙ্গী আরিয়ান লাকরা ব্যাট করছেন ৪ বলে ১ রানে।
আরিয়ান লাকরাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন চিরাগ সুরি। বোলারদের উপর চড়াও হয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন দ্রুত। তাকে স্টাম্পড করে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
অফ স্পিনার বল বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় সফল হননি সুরি। বাকিটা অনায়াসেই সারেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। ভাঙে ২২ বল স্থায়ী ৩৯ রানের জুটি।
৮ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৬। ক্রিজে লাকরার সঙ্গী ভ্রিতিয়া অরবিন্দ।
পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চিরাগ সুরির পর বিদায় করলেন আরিয়ান লাকরাকে।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি লাকরা। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে। সেখানে কোনো ভুল করেননি শরিফুল ইসলাম।
১৫ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৯ রান করেন লাকরা।
১০ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৯। ক্রিজে ভ্রিতিয়া অরবিন্দের সঙ্গী চুনদানগাপোয়িল রিজওয়ান।
চার ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারে উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ অবদান রাখলেন পরের উইকেটেও। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্ট ঝাঁপিয়ে ধরলেন চমৎকার এক ক্যাচ।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরের শর্ট বল পয়েন্টের উপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন চুনদানগাপোয়িল রিজওয়ান। পার করতে পারেননি মিরাজকে।
৬ বলে ১ চারে রিজওয়ান করেন ৫।
১১ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রান ৪ উইকেটে ৮৩। ক্রিজে ভ্রিতিয়া অরবিন্দের সঙ্গী বাসিল হামিদ।
মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বোলিংয়ে ফিরে উইকেট পেলেন শরিফুল ইসলামও। বাঁহাতি এই পেসারের শর্ট বলে ডিপ কাভারে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়লেন বাসিল হামিদ।
৪ বলে তিনি করেন ২ রান।
১৩ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রান ৫ উইকেটে ৯৪। ক্রিজে ভ্রিতিয়া অরবিন্দের সঙ্গী অভিষিক্ত আয়ান আফজাল খান।
দুই ওভারের স্পেল দুটি উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে চার দিয়ে স্বাগত জানান ভ্রিতিয়া অরবিন্দ। পরের বল বেরিয়ে এসে ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েই নিচু ক্যাচ দুই হাতে জমান মিরাজ।
১৬ বলে দুই চারে ১৬ রান করেন অরবিন্দ।
১৪ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০০। ক্রিজে আয়ান আফজাল খানের সঙ্গী জাওয়ার ফরিদ।
নাসুম আহমেদের বল লেগে পাঠিয়ে ২ রানের জন্য ছুটলেন যাওয়ার ফরিদ। তবে সীমানায় আফিফ হোসেন ছিলেন দারুণ তৎপর। চমৎকার থ্রোয়ে বেলস ফেলে দিলেন তিনি! সে সময় বেশ দূরে ছিলেন ফরিদ।
৪ বলে ২ রান করেন ফরিদ।
১৫ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৫।
উচ্চতার জন্য আগের বলটি হয়ে গেল ওয়াইড। না হলে ওভার শেষ হয়ে যেত মুস্তাফিজ। বাড়তি বলের জন্য পেলেন আরেকটি উইকেট। বোল্ড করে দিলেন কার্তিক মিয়াপ্পনকে।
বলে লাইনে যেতে পারেননি ব্যাটসম্যান। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ৯ বলে ২ চারে মিয়াপ্পন করেন ১২।
ক্রিজে আয়ান আফজাল খানের সঙ্গী জুনাইদ সিদ্দিক।
সহজ ক্যাচ ছিল, সীমানায় সেটা ধরতে গিয়ে তালগোল পাকালেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৬ রানে জীবন পেলেন আয়ান আফজাল খান।
শরিফুল ইসলামের করা ১৮তম ওভারে এলো ১৪ রান। বেঁচে থাকল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আশা। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২১ রান চাই তাদের। হাতে আছে ২ উইকেট।
শেষ দিকে হাত থেকে ছুটল ক্যাচ। মিস ফিল্ডিংয়ে গুণতে হলো বাড়তি রান। তবে বোলিং বেশ ভালো হলো বলেই হাত থেকে ছুটে গেল না ম্যাচ।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। আগের ২ ওভারে ২৪ রান নেওয়া আয়ান আফজাল খান ও জুনাইদ সিদ্দিকের জন্য কাজটা অসম্ভব কিছু ছিল না।
শরিফুল ইসলামের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে জুনাইদের সহজ ক্যাচ ছাড়েন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। স্বাগতিকদের তখন প্রয়োজন কেবল দুটি বাউন্ডারি।
তবে পরের দুই বলে আয়ান ও জুনাইদকে ফিরিয়ে অঘটন এড়ান শরিফুল। সীমানায় মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়েন আয়ান। তিন চারে ১৭ বলে তিনি করেন ২৫।
কাভারে সাইফের হাতে ক্যাচ দেন জুনাইদ। এক চারে তিনি ৯ বলে করেন ১১।
১৫৮ রান তাড়ায় ২ বল বাকি থাকতে ১৫১ রানে থামে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ। শরিফুল ৩ উইকেট নেন ২১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (মিরাজ ১২, সাব্বির ০, লিটন ১৩, আফিফ ৭৭*, ইয়াসির ৪, মোসাদ্দেক ৩, সোহান ৩৫*; জুনায়েদ ৪-০-৩৩-০, সাবির ৩-০-১৬-১, আয়ান ৩-০-১৬-১, ফরিদ ৪-০-৩৮-১, মিয়াপ্পান ৪-০-৩৩-২, হামিদ ২-০-১৬-০)
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৯.৪ ওভারে ১৫১ (ওয়াসিম ১৫, সুরি ৩৯, লাকরা ১৯, অরবিন্দ ১৬, রিজওয়ান ৫, হামিদ ২, আয়ান ২৫, ফরিদ ২, মিয়াপ্পন ১২, জুনাইদ ১১, সাবির ০*; সাইফ ৪-০-৪০-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, নাসুম ৪-০-৩১-০, শরিফুল ৩.৪-০-২১-৩, মিরাজ ৩-০-১৭-৩, মোসাদ্দেক ১-০-৯-০)