২৬০ থেকে বেরিয়ে ৩০০ রানের চাওয়া মিরাজের

উইকেট, কন্ডিশন ও পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় লক্ষ্য ঠিক করার কথা বললেন ইয়াসির আলি রাব্বি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2022, 01:51 PM
Updated : 20 Nov 2022, 01:51 PM

অন্য দুই সংস্করণের তুলনায় ওয়ানডেতে তুলনামূলক সাবলীল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৫০ ওভারের খেলায় অনেক বছর ধরে সমীহ জাগানো দল তারা। তারপরও এই সংস্করণে বাংলাদেশ এখনও আটকে যায় ২৫০-২৬০ রানের গন্ডিতে। নিয়মিত বড় হয় না তাদের দলীয় সংগ্রহ। এই বৃত্ত ভাঙার প্রক্রিয়া ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই শুরু করতে চান মেহেদী হাসান মিরাজ। 

সাভারের বিকেএসপিতে রোববার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দশম আসরের খেলা। এই টুর্নামেন্টে ব্যাটসম্যানরা যেন দলকে ৩০০ রানের সংগ্রহ এনে দেন, সেই চেষ্টার তাগিদ দিলেন মিরাজ। 

ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে এবার বিসিএলে শুরুতে হচ্ছে এই সংস্করণের লড়াই। উদ্বোধনী দিনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। 

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মিরাজ বললেন, ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে এই বিসিএল তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতির সুযোগ। 

“অবশ্যই এটি আমাদের জন্য একটি ভালো সুযোগ। যেহেতু ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ আছে। যেহেতু সবাই অনেকদিন ধরে ওয়ানডের মধ্যে নেই, টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছে। তাই আমার মনে হয়, বিসিএলের মাধ্যমে ওয়ানডে সিরিজের আগে খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হবে।” 

প্রস্তুতির ভালো মঞ্চ বললেও বিসিএলের প্রথম দিনের দুই ম্যাচে অবশ্য এর ছাপ পাওয়া যায়নি। চার ইনিংসে দুইশ ছাড়িয়েছে স্রেফ একটিতে। ইয়াসির আলি চৌধুরীর ৭৩ বলে ৮০ রানের সুবাদে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ২৫৪ রান করে পূর্বাঞ্চল। অন্য ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ১৯৯ রান করেও ৭২ রানের জয় পেয়েছে মিরাজের দক্ষিণাঞ্চল। 

দারুণ বোলিংয়ে দলকে জেতালেও বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডেতে যে এখন আর আড়াইশ রান নিরাপদ নয়, সেটি জানা মিরাজের। বোলারদের ডিফেন্ড করার সুযোগ দেওয়ার জন্য হলেও ২৮০ থেকে ৩০০ রান করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অফ স্পিনার। 

“ওয়ানডে ক্রিকেটে সবসময় ২৮০-৩০০ রান করতে হবে। তা হলেই না বোলাররা ডিফেন্ড করতে পারবে। এটা অভ্যাসের ব্যাপার। (২৬০-২৭০ রান করে) ওয়ানডে ক্রিকেটে দেখেন আমরা ভালো ক্রিকেটই খেলছি। অনেক ম্যাচে ৩০০ রানও করেছি।”

“তবে বড় মঞ্চে ২৫০-২৬০ রান নিরাপদ নয়। সেখানে ২৭০-২৮০ বা ৩০০ রান করতে হবে। এজন্য ব্যাটসম্যানদের অবশ্যই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে এবং ওপরের সারির প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। তখনই ২৮০-৩০০ রান করা সম্ভব।” 

এ বিষয়ে ইয়াসিরের ভাবনা খানিকটা ভিন্ন। দলীয় সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যের দিকে না ঝুঁকে বরং উইকেট, কন্ডিশন ও পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী এগোনোর কথা বলেছেন ডানহাতি এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। 

“ওসব নিয়ে (২৫০-২৬০ থেকে বেরিয়ে ৩০০ রান) আসলে তেমন চিন্তা নেই। অনুশীলন শুরু হলে বুঝব কেমন উইকেটে খেলা হবে, পরিবেশ কেমন থাকবে। আমরা যদি এখানে ২৮০ করি, আমাদের একটা হোম অ্যাডভান্টেজ থাকবে। আমাদের কাছে ওটা তিনশর মতো হবে। আমার কাছে মনে হয়, ওসব নিয়ে চিন্তা নেই। আমরা সেরা ক্রিকেটটা খেলার চেষ্টা করব।”