ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গর্বিত করতে চান ব্র্যাথওয়েট

প্রায় ২৭ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট জিততে না পারলেও এবার ভিন্ন কিছু করতে চান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2024, 05:39 AM
Updated : 13 Jan 2024, 05:39 AM

অস্ট্রেলিয়ায় যখন সবশেষ টেস্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এবারের দলের অনেকের তখনও জন্মই হয়নি। সবশেষ ড্র করা টেস্ট থেকেও এবারের দলে আছেন কেবল দুই জন। তবে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই অধিনয়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের। পারফরম্যান্স দিয়েই তারা নিজেদের তুলে ধরতে পারবেন বলে বিশ্বাস ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের।

অস্ট্রেলিয়ায় গত প্রায় ২৭ বছরে টানা ১৬ টেস্টে জয়ের মুখ দেখেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে ড্র করেছে কেবল দুটি টেস্ট। এর একটি আবার ড্র হয়েছিল মূলত বৃষ্টির কারণে। সবশেষ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা সেই ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। অধিনায়ক কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে কার্টলি অ্যামব্রোস ও ইয়ান বিশপের বোলিং তোপে সেবার ১০ উইকেটে জিতেছিল তারা।

বর্তমান বাস্তবতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি এবার দুই টেস্টের একটিও ড্র করতে পারে, সেটিই হবে বিস্ময়ের। তবে ব্র্যাথওয়েট বিশ্বাস পাচ্ছেন প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে শুক্রবার শেষ হওয়া তিন ম্যাচের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা। প্রথম ইনিংসে রান পেয়েছেন ব্র্যাথওয়েট নিজেও।

প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৯ রান করেছেন কাভেম হজ। দুই ইনিংসে ৬৫ ও অপরাজিত ৪১ করেছেন জাস্টিন গ্রিভস। এই দুজনেরই এবার টেস্ট অভিষেক অনেকটাই নিশ্চিত। এছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করা পেমার শামার জোসেফেরও অভিষেক হতে পারে।

প্রস্তুতি ম্যাচের পর প্রথম টেস্টের একাদশের একটা সম্ভাব্য ছবি পেয়ে গেছেন ব্র্যাথওয়েট। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, এবার মূল লড়াইয়ে আলো ছড়ানোর পালা।

“একাদশ নিয়ে আমি মোটামুটি পরিষ্কার। অনুশীলন ক্যাম্পে এবং এই প্রস্তুতি ম্যাচে ছেলেরা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে, তাতে আমি খুশি। এখন ব্যাপারটি হলো পরের সপ্তাহে এই সময়টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গর্বিত করার।”

দুই ম্যাচের প্রথমটি অ্যাডিলেইডে শুরু আগামী বুধবার। ক্যারিবিয়ানরা অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে গত ৩০ ডিসেম্বর। সিরিজের আগে ম্যাচের ভেন্যুর শহরে দুই সপ্তাহ অনুশীলনের সুযোগ এখনকার যুগের বাস্তবতায় বিরল বললেও কম বলা হয়।

প্রস্তুতি নিয়ে তাই কোনো ঘাটতির জায়গা দেখেন না ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।

“অ্যাডিলেইডে এত লম্বা সময় ধরে অনুশীলন করা, এখানকার পিচ, কন্ডিশন ও সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য দারুণ। দল হিসেবে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। এখানকার সুযোগ-সুবিধা অসাধারণ এবং ছেলেরা তা যতটা সম্ভব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।”

অনভিজ্ঞ এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ব্যাটিংয়ের মূল ভার বইতে হবে ব্র্যাথওয়েটকেই, বোলিং কিমার রোচকে। ২০২২ সালে সবশেষ সফরের দলে থাকা তেজনারাইন চন্দরপল ও আলজারি জোসেফরও কিছুটা ধারণা আছে অস্ট্রেলিয়ায় খেলা নিয়ে। দলের অন্যদেরকে নিজেদের সেই অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন ব্র্যাথওয়েটরা।

“অনেক কিছু নিয়েই কথা বলার আছে, বিভিন্ন স্পেলে কীভাবে খেলতে হয়, পিচগুলোর কখন কেমন হয়। কিমার রোচের সেই অভিজ্ঞতা আছে, তরুণ বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবে সে। এই ধরনের পিচে কুকাবুরা বল কীভাবে সাড়া দেয়, কোনো পিচে কোন লেংথে বল করতে হয়, বিশেষ করে নতুন বলে, এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ।”