বিশ্বকাপের সেরা কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টায় আমিরাতের সামনে বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয়ের পাশাপাশি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায় দল, জানালেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সোহান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2022, 05:12 PM
Updated : 24 Sept 2022, 05:12 PM

পরিকল্পনায় ছিল অনুশীলন ক্যাম্প, পরে সেটিই রূপ নিল আন্তর্জাতিক সিরিজে। এই সুযোগই এখন কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে যতই দুর্দশা চলুক দলের, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে জয়টা তো প্রত্যাশিতই। পাশাপাশি বিশ্বকাপের আগে নানা কিছু বাজিয়ে দেখা, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সেরে নিতে চায় দল।

দুবাই স্পোর্টস সিটিতে দুই দিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি রোববার। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ।

বাংলাদেশের এই সফরে মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকাপের আগে চার-পাঁচদিনের একটি অনুশীলন ক্যাম্প। আমিরাতের বোর্ড তখন প্রস্তাব দিল সিরিজ আয়োজনের। বিসিবি তাতে রাজি হতে সময় নেয়নি। নিজেদের খরচে অনুশীলন ক্যাম্পটির জন্য কয়েক কোটি টাকা লেগে যেত নিশ্চিতভাবেই। আমিরাত সিরিজ আয়োজন করায় সেই টাকা বেঁচে গেল। সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার সুযোগও এলো।

সম্প্রতি এশিয়া কাপে আরব আমিরাত খেলতে পারেনি বাছাইয়ে হংকংয়ে কাছে হেরে যাওয়ায়। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা আছে ১৪ নম্বরে। তবে একেবারে হেসেখেলে তাদের হারানো যাবে, তেমন কিছু ধরে রাখার কারণও নেই। বাংলাদেশের মতো এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে তারাও। যদিও তাদের খেলতে হবে প্রথম রাউন্ডে।

তবে টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলকেই যে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই, ম্যাচের আগের দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

“অবশ্যই ম্যাচ জেতায় মূল ফোকাস থাকবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের হয়ে প্রতিটি ম্যাচই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা আমাদের শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।”

“কোনো দলকে দুর্বল বলা বা ছোট করা, এসব আমি ব্যবহার করতে চাই না। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, তাদের অবশ্যই সামর্থ্য আছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে যে দিন যে দল ভালো খেলে, তারাই ভালো ফল পায়। আমাদের ভালো খেলা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।”

প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা সফর শুরুর আগে থেকেই বলছেন সোহান। সেই প্রক্রিয়ারই একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে বিশ্বকাপের জন্য উপযুক্ত কম্বিনেশন বের করা। সিপিএলে খেলার কারণে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই এই সিরিজে। তার মতো অলরাউন্ডার না থাকা মানে এমনিতেই একাদশ নিয়ে বাড়তি ভাবনা। এর বাইরেও এবার টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা একটু বেশি থাকবে, জানিয়ে দিলেন সোহান।

“এখানে দুটি ম্যাচ আছে, নিউ জিল্যান্ডে খেলা আছে (ত্রিদেশীয় সিরিজ)। আমাদের সেরা কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা করা হবে, যেন বিশ্বকাপে ব্যালান্সড দল পেয়ে যাই। বিশ্বকাপে একেক দিন একেক দলের সঙ্গে খেলা। (একাদশ) নির্ভর করবে সেদিনের পরিস্থিতি ও চাহিদার ওপর। এখানে ভালো সুযোগ সম্ভাব্য কম্বিনেশনগুলো পরীক্ষা করার।”

কম্বিনেশন খোঁজার সেই পালা শুরু হবে একদম ওপর থেকেই। মানে ওপেনিং জুটি। এখনও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো থিতু উদ্বোধনী জুটি নেই। লিটন দাস চোট কাটিয়ে ফেরায় ওপেনিংয়ে একটি দিকে পরীক্ষিত কাউকে পাওয়া যাচ্ছে এই সিরিজে। কৌতূহল থাকবে তার সম্ভাব্য সঙ্গী নিয়ে। এশিয়া কাপে ওপেন করা সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের কেউ নাকি দলে ফেরা নাজমুল হাসান শান্ত!

কিংবা কে জানে, লিটনকে তিন-চারে খেলিয়ে সাব্বির-মিরাজের জুটিও বহাল রাখা হতে পারে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকলেও এই সিরিজের দলে থাকা সৌম্য সরকারকেও একেবারে বিবেচনার বাইরে রাখা যায় না।

সোহান অবশ্য ওপেনিং নিয়ে কারও নাম আলাদা করে বলতে চাইলেন না ম্যাচের আগের দিন।

“এখনই কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না। আমরা আমাদের সম্ভাব্য সবচেয়ে ব্যালান্সড একাদশ নিয়ে খেলার চেষ্টা করব। সামনে নিউ জিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপ আছে, আমরা চেষ্টা করছি একটা প্রক্রিয়া ধরে এগোনোর। সেটাই অনুসরণ করব।”