আইপিএল
নিলামের পর বিদেশি ক্রিকেটারদের নাম সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে শাস্তির নিয়ম করেছে আইপিএল তাতে চিন্তার কিছু দেখছেন না প্যাট কামিন্স।
Published : 12 Oct 2024, 05:20 PM
বিদেশি ক্রিকেটারদের লাগামে রাখতে আইপিএলের নিলামের নিয়মে আনা হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। নিলামের পর এখন আর কেউ চাইলেই সরে দাঁড়াতে পারবেন না। পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও ঠিক করা হয়েছে নতুন কাঠামো। এসব পরিবর্তনে আপত্তি নেই প্যাট কামিন্সের। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া এই ক্রিকেটার বললেন, নতুন পরিস্থিতিতে আইপিএলে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে এখন আরও ভাবতে হবে।
অবশ্য শুধু নিয়ম পরিবর্তনের কারণে নয়, নিজের বয়স, ফিটনেস ও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যস্ত সূচি মিলিয়েই আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নিতে নতুন ভাবনার কথা বলেছেন ৩১ বছর বয়সী পেসার। তার পরিষ্কার কথা, অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে সবসময় এগিয়ে রাখবেন তিনি।
আইপিলের গত আসরের আগে মিনি নিলামে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কামিন্সকে দলে ভেড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তখন পর্যন্ত এটিই ছিল আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। এর কিছুক্ষণ পর ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে বিক্রি হন কামিন্সের স্বদেশি মিচেল স্টার্ক।
আইপিএল ইতিহাসে এখন ২০ কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রিকেটার এখন তারা দুজনই। তবে নতুন নিয়মে বিদেশি ক্রিকেটাররা আর এত বেশি পারিশ্রমিক পাবেন না। ধরে রাখা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ১৮ কোটি রুপি বেঁধে দেওয়ায়, নিলাম থেকে এর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাবেন না কোনো ক্রিকেটার।
অবশ্য পারিশ্রমিকের নিয়ম বদলানো নিয়ে ভাবনা নেই কামিন্সের। নতুন আরেকটি নিয়মে বলা হয়েছে, নিলামের পর চোট বা গ্রহণযোগ্য কোনো বৈধ কারণ ছাড়া বিদেশি কোনো ক্রিকেটার সরে দাঁড়ালে তাকে দুই বছরের জন্য আইপিএলে নিষিদ্ধ করা হবে।
এই নিয়মেও আপত্তি নেই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কের। তবে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কামিন্স বলেছেন, যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে এসব বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে।
“আগামী কিছু দিনে আমি দেখব (আইপিএলের) এই মৌসুমটি আসলে কেমন। নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে আমি জানি না, অতীতে এই নিয়ম (থাকলে) আমার ওপর কোনো প্রভাব পড়ত কিনা। আমি কখনও নিলামের পর সরে দাঁড়াইনি। তবে আইপিএল খেলার ক্ষেত্রে এখন এটিও আরেকটি বিবেচনার বিষয়।”
একই প্রসঙ্গে কামিন্স নিজের সার্বিক অবস্থানও পরিষ্কার করেছেন। বয়স এরই মধ্যে ৩১ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামনে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যস্ত সূচি থাকায় জাতীয় দলের হয়ে খেলাকেই প্রাধান্য দেবেন তিনি।
“টেস্ট ক্রিকেটের প্রাধান্য সবসময় এক নম্বরে। বিশ্বকাপও এর খুব কাছাকাছি থাকবে। আমার মতে, এগুলো ঘিরেই কাজ করা হয় এবং এর আশপাশে কী আছে সেগুলো খোঁজ করা হয়।”
“সূচি কখনও এখনের চেয়ে কম ব্যস্ত হবে না আর আমিও আগের চেয়ে তরুণ হবো না। তাই এসব জিনিস সবসময় আমার বিবেচনায় থাকে। সামনের দিকে আরও বেশি থাকবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচ খেলা সবসময় আমার প্রথম পছন্দ, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।”
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট খেলার পর থেকে বিশ্রামে কামিন্স। সম্প্রতি ইংল্যান্ড সফরে সাদা বলের সিরিজ দুটি খেলেননি তিনি। ঘরের মাঠে আগামী মাসে পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে ফিরতে পারেন তারকা পেসার।