অজুহাত না দিয়ে উন্নতির আশায় বাংলাদেশ কোচ

লম্বা নৌ ভ্রমণের ধকল তো ছিলই, ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনও করা যায়নি বৃষ্টির কারণে। সেসবের প্রভাব পড়ে থাকতে পারে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। তবে রাসেল ডমিঙ্গো মনে করিয়ে দিলেন, একই অভিজ্ঞতা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। এসবকে তাই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না বাংলাদেশ কোচ। তার বিশ্বাস, দ্বিতীয় ম্যাচে দল আরও ভালো করবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2022, 05:45 AM
Updated : 3 July 2022, 08:26 AM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যতটুকু খেলা হয়েছে, খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। প্রথমে ১৬ ওভার, পরে ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর আরেক দফা বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

শুরুটা যদিও আশা জাগানিয়া ছিল দলের। প্রথম ওভারে মুনিম শাহরিয়ারকে হারালেও তিনে নামা সাকিব আল হাসানের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫ ওভারে ৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ, গত এক বছরে যা তাদের সবচেয়ে ভালো শুরু। তবে এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে সেই অবস্থানও তারা হারিয়ে ফেলে।

টেস্ট সিরিজের পর সেন্ট লুসিয়া থেকে নৌ পথে ভ্রমণ করে ডমিনিকায় এসেছে দুই দল। ঘণ্টা পাঁচেকের অনভ্যস্ত ভ্রমণে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই ধকল সামলে নিতে পারলেও ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করতে পারেনি দল। ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন না করেই তাই খেলতে নেমে পড়তে হয় ক্রিকেটারদের।

ডমিঙ্গোর কাছে অবশ্য আরও বেশি সমস্যা মনে হয়েছে, কয়েকজন ক্রিকেটার অনেক দিন পর ম্যাচে ফেরায়। ম্যাচ শেষে কোচের কণ্ঠে বরং স্বস্তি, কিছুটা হলেও ম্যাচ অনুশীলন হওয়ায়।

“লম্বা নৌ ভ্রমণ করে এখানে এসেছে ছেলেরা, গতকাল কোনো অনুশীলনও করা যায়নি। তবে কোনো অজুহাত নেই। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও একই অভিজ্ঞতা ছিল। ওরাও একই ফেরিতে ছিল, ওরাও অনুশীলন করতে পারেনি। আমাদের কয়েকজন ক্রিকেটারের একটু জড়তা ছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে খেলার মধ্যে না থাকায়। আফিফ-রিয়াদের মতো কয়েকজন বেশ কিছুদিন ধরে ম্যাচে ছিল না, ঢাকায় অনুশীলন করছিল। আজকে কিছুটা ম্যাচ অনুশীলন তাদের হয়েছে।”

“বাংলাদেশের হয়ে রিয়াদ-আফিফের সবশেষ ম্যাচ ছিল সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকায়, সেটা মাস দুয়েক আগে। সিরিজ যত এগোবে, তারা আরও ভালো হয়ে উঠবে। আজকে অন্তত কিছুটা খেলার সুযোগ পেয়েছি, ১২-১৩ ওভারের মতো অনুশীলন করতে পেরেছি এবং টি-টোয়েন্টির আবহে ফিরেছি। আমি নিশ্চিত, দ্বিতীয় ম্যাচে উন্নতি দেখবেন।”

সপ্তম ওভার থেকে একাদশ ওভারের মধ্যে ২১ রানে ৫ উইকেট হারায় দল। ভালো শুরুর স্বস্তি উবে যায় ওখানেই। দারুণ খেলছিলেন যিনি, সেই সাকিব আল হাসান আউট হন ১৫ বলে ২৯ রান করে। নুরুল হাসান সোহান পরে ১৬ বলে করেন ২৫ রান।

কিন্তু ছোট ছোট এসব অবদান নয়, ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে সামনে বড় ইনিংস দেখতে চান কোচ।

“আজকে আগে বোলিং করতে পারলে ভালো হতো। তবে টস হেরে যাই আমরা। এটা খেলারই অংশ। ২ উইকেটে ৪৫ রান ছিল, শুরুটা ভালো করেছিলাম আমরা। এরপর সত্যিই বাজে ক্রিকেট খেলেছি। তবে আমি নিশ্চিত যে পরের ম্যাচে ভালো করব।”

“ব্যাটিংটা ইতিবাচক ছিল। তবে সাকিব ভুল সময়ে আউট হয়েছে, সে নিজেও জানে এটা। কারও কাছ থেকে বড় স্কোর প্রয়োজন আমাদের। এই সংস্করণে প্রয়োজন ভালো জুটি। আজকে যখনই জুটি গড়ে উঠতে শুরু করেছে, আমরা উইকেট হারিয়েছি।”

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ডমিনিকাতেই, রোববার।