লিটনকে জীবন দিয়ে আক্ষেপে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা

কোনো চেষ্টাই যখন কাজে আসছিল না তখন একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। কিন্তু লিটন দাসের ক‍্যাচ জমাতে পারেননি বদলি ফিল্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। জীবন পেয়ে আর পেছনে তাকাননি লিটন, সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত ১৩৫ রানে। কামিন্দুর সেই ব‍্যর্থতা দিন শেষে পোড়াচ্ছে তার দলকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2022, 04:35 PM
Updated : 23 May 2022, 05:19 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৭। লিটনের মতো মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত। 

লিটন যখন ক্রিজে যান কাসুন রাজিথা ও আসিথার দারুণ বোলিংয়ে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল বাংলাদেশ। মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন লিটন।

প্রথম ঘণ্টার পর পেসারদের জন‍্য তেমন কোনো সুবিধা ছিল না। লঙ্কান স্পিনারদের বোলিংয়ে ছিল না তেমন ধার। সাবলীলভাবেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতির প্রথম বলেই সুযোগ দিয়েছিলেন লিটন। বলা যায় ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি। লিটন ও মুশফিকের জন্য শরীর তাক করা শর্ট বলের কৌশল নিয়ে টানা বোলিং করছিলেন আসিথা। সুযোগটা এসেছিল সেই কৌশলেই। শর্ট বল পেয়ে পুল শট খেলে নিচে রাখতে পারেননি লিটন। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল উঠে যায়। স্কয়ার লেগ থেকে একটু পেছনে ছুটে বলের নিচে গিয়েও হাতে জমাতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস।

লিটন তখন ছিলেন ৪৭ রানে। জুটির রান তখন ৮৪। শেষ পর্যন্ত সেই জুটি অবিচ্ছিন্ন ২৫৩ রানে। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে যা বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা। ২৫ বা এর কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর যা ক্রিকেটের ইতিহাসেই সেরা জুটি। আর কোনো জুটি করতে পারেনি একশ রানও।

বাংলাদেশের যত অর্জন ধরা দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার আক্ষেপ যেন তত বেড়েছে। দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটাই স্বীকার করলেন লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড।

“যখন আমরা একটা ভুল করতে বাধ‍্য করেছিলাম, তখন আমরা ক‍্যাচটা নিতে পারিনি। এটা অনেক বড় পার্থক‍্য গড়ে দিতে পারত। এটা আমাদের জন‍্য খুব চড়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।”

ফিল্ডিংয়ে এই একটি ভুলই করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে বোলিংয়ে অনেক বেশি ভুল দেখছেন সিলভারউড। বিশেষ করে ৭ ওভারের মধ‍্যে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে চেপে ধরতে না পারা মানতেই পারছেন না তিনি।

“যে শুরু আমরা পেয়েছিলাম, সেটা এগিয়ে নিতে না পারা অবশ‍্যই খুব হতাশার। আমি মনে করি, শুরুতে থাকা মুভমেন্ট আমরা খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছিলাম। দুই পেসার আবারও অসাধারণ ছিল। ওরা ছিল সুশৃঙ্খল এবং ব‍্যাটসম‍্যানদের ভাবনার মধ‍্যে রেখেছিল।”

“দুর্ভাগ‍্যজনকভাবে আমরা এরপর সেটা ধরে রাখতে পারিনি। আমরা সে সময় রানের অনেক বেশি সুযোগ দিয়েছি।”