৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে কী ভাবছিলেন মিরাজ?

পঞ্চম বোলারের জন‍্য বিপদে পড়ে যাবে না তো বাংলাদেশ? মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম স্পেল শেষে ধীরে ধীরে প্রশ্ন উঠছিল। অধিনায়ক তামিম ইকবালের কপালেও নিশ্চয় পড়ছিল চিন্তার ভাঁজ। তবে বোলার মিরাজ নিজে কী ভাবছিলেন, ম‍্যাচের একদিন পর নিজেই জানালেন তরুণ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2022, 01:57 PM
Updated : 19 March 2022, 01:57 PM

সেঞ্চুরিয়নে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ রানে জেতা প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম স্পেলে মিরাজ ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান। এরপর তাকে আক্রমণ থেকে লম্বা সময়ের জন‍্যই  সরিয়ে নেন তামিম। 

বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় শনিবার সেই সময়ের ভাবনার কথা জানান মিরাজ।

“প্রথম চার ওভারে যে বোলিং করেছিলাম, তখন আমি নিজেই একটু দ্বিধায় ছিলাম। কারণ, ওরা খুব ভালো ব‍্যাটিং করছিল এবং আমাকে চার্জ করছিল। আমি একটু দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম, কোন লেংথে বোলিং করব, কীভাবে বলটা করব। পেছন থেকে মুশফিক ভাই বলছিল, একটু ভেরিয়েশন করে বোলিং করলে ভালো হয়। তবে আমি সেটা সেভাবে করতে পারিনি। কারণ, সে সময় আমি সেই পরিস্থিতিতে ছিলাম না, ওরা আমাকে চার্জ করছিল। আমি বেশি রান দিয়ে দিচ্ছিলাম।” 

“মাঝে যখন আমাকে একটা বিরতি দেওয়া হলো, আমি প্রস্তুতি নিলাম যে, আমাকে ভালো করতে হবে। কারণ, এই ম‍্যাচে যদি আমি ভালো করতে না পারি আমাদের হেরে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে। কারণ, তখনও আমার ৬ ওভার বাকি ছিল। সে সময় আমি নিজেকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছি এবং নিজের সঙ্গে কথা বলেছি যে, আমি পারব। আমি নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করেছি সেই সময়। দ্বিতীয় স্পেল যখন বোলিংয়ে এসেছি তখন খুব ভালো হয়েছে।”

যখনই দ্বিধায় থাকেন বা চাপে পড়েন, মিরাজ বারবার নিজেকে মনে করিয়ে দিতে থাকেন কাজটা তিনি পারবেন। তবুও মাঝে মধ‍্যে বাইরের কারো সাহায‍্যের প্রয়োজন হয়। শুক্রবার সেটা পেয়েছিলেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে।

“কাল যখন আমি রান দিচ্ছিলাম তখন তামিম ভাইকে আমি বলছিলাম, ভাই আপনি আমার ওপর বিশ্বাস রাইখেন, আমি উইকেট নিয়ে ম‍্যাচ বের করে দিতে পারব। পেছন থেকে লিটনও আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। উনি আমাকে বারবার বলছিলেন, ‘তুই পারবি, তুই এখান থেকে একটা উইকেট বের করতে পারলে আমরা ম‍্যাচ জিতে যাব।’ দ্বিতীয় স্পেলে যখন বোলিংয়ে এসেছি তখন চেষ্টা করেছি উইকেটের মেরিট অুনযায়ী বোলিং করার জন‍্য।”

“উইকেট থেকে আমি একটু সহায়তাও পাচ্ছিলাম। একটু টার্ন করছিল, তো সেভাবেই বল করার চেষ্টা করেছি। সাকিব ভাই আমাকে বলেছিলেন, এখানে আস্তে-ধীরে মিলিয়ে বোলিং করলে ভালো হবে।  আমি যখনই দ্বিধায় থাকি, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। কারণ, উনার বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রচুর এবং উনি উইকেট বুঝে বোলিং করতে পারেন। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে শেষ স্পেলেই কথা বলেছিলাম, এখানে কীভাবে করলে আমার জন‍্য ভালো হবে। তখন উনি আমাকে দুইটা কথা বলেছিলেন, ওই দুইটা কথা আমার অনেক কাজে দিয়েছে।”

দ্বিতীয় স্পেলে ৫ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ আশাটুকু গুঁড়িয়ে দেন মিরাজ।