লিটনের টানা দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের পরও কেবল ১৯২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সেই রান ৭ উইকেট ও ৫৯ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের বাইরে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল মাহমুদউল্লাহ। তিনি অপরাজিতই থেকে যান, কিন্তু লোয়ার অর্ডারদের আগলে রেখে দলের স্কোর বড় করতে পারেননি।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে লিটনের দারুণ জুটিতে এক সময়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ১০৪। সেখান থেকে আড়াইশ ছাড়ানো রান অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু মাঝের ওভারে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবির চমৎকার বোলিং আর বাজে কিছু আউটে স্বাগতিকরা থমকে যায় দুইশ রানের আগেই।
ধসের মাঝে ৮৮ রানে হারানো ৯ উইকেটের মাঝে আছেন লিটনও। ৩৬তম ওভারে নবিকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় তিনি ধরা পড়েন গুলবাদিন নাইবের হাতে। সে সময়ে অমন শট না খেললেও চলতো।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ছন্দে থাকা লিটনের উচিত ছিল ক্রিজে থেকে যাওয়া।
“হ্যাঁ, (লিটনের সঙ্গে পরে কেউ জুটি গড়তে পারেনি)। তবে আমি মনে করি, লিটন নিজেও ভুল সময়ে আউট হয়েছিল। সে ছিল থিতু ব্যাটসম্যান, খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, সে হলো ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান। যখন (ধসের মতো) এই ধরনের ব্যাপার ঘটে তখন থিতু ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব দলকে এগিয়ে নেওয়া।”
সেটা না পারলেও তিন ম্যাচ মিলিয়ে একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ২২৩ রান করে লিটন জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। লিটনও মনে করেন, উইকেটে তিনি থাকলে খেলার এই দশা হতো না।
“(ইনিংস আরও বড় করতে না পারায়) অবশ্যই খুব হতাশ। প্রথম ১৫ ওভারে আমার কাজ ঠিকঠাক মতোই করেছিলাম। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ওরা খুব ভালো বোলিং করেছিল, আমি সেটা ঠিকঠাকভাবেই সামাল দিয়েছিলাম। যদি আমি ৪২ ওভার ক্রিজে থাকতে পারতাম তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতে পারতো।”