মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৪ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস খেলেন দু প্লেসি। তার ব্যাটেই প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্সকে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আগেই সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করা কুমিল্লা খেলতে নামে নিয়মিত অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, কিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া। ইমরুলের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পেয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দু প্লেসি। সঙ্গে দেখান মিরপুরের উইকেটে ইনিংস কীভাবে গড়তে হয়।
চলতি বিপিএলে মিরপুরে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি, সব মিলিয়ে আসরের তৃতীয়। লেন্ডল সিমন্স ও তামিম ইকবাল তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন চট্টগ্রামে ব্যাটিংয়ের জন্য তুলনামূলক ভালো উইকেটে।
খুলনার বিপক্ষে চার ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে প্রায় শেষ পর্যন্ত টানেন ৩৭ বছর বয়সী দু প্লেসি।
ক্রিজে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর নাবিল সামাদকে মারেন চার। পরে নাভিন উল হকের বলে মারেন আরেকটি। এক-দুই নিয়ে খেলার ফাঁকে ফাঁকে বাউন্ডারিতে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি।
বাঁহাতি স্পিনার নাবিলের বল বেরিয়ে এসে স্ট্রেট ড্রাইভে ছক্কায় ওড়ান দু প্লেসি। অন্য প্রান্তে কেউ খুব একটা সঙ্গ দিতে পারছিলেন না। কিন্তু দু প্লেসির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে গড়ে উঠছিল জুটি।
৩০ বলে বিপিএলে দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছুঁয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দু প্লেসি। মইন আলিকে বোল্ড করা ফরহাদ রেজার ওভারে মারেন ছক্কা ও চার। পরে আফগান পেসার নাভিনকে পরপর দুই বলে মারেন চার ও ছক্কা।
পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে পরপর দুই চারের পর সিঙ্গেল নিয়ে ৫২ বলে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন দু প্লেসি। এই ইনিংসে শক্তির মহড়া যেমন দিয়েছেন, তেমন টাইমিংয়েও নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়ে বেশিদূর যেতে পারেননি দু প্লেসি।
মাঠে নামার আগেই নিশ্চিতভাবেই সুখবর জেনে থাকবেন তিনি। ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের এই ক্রিকেটারকে নিয়ে আইপিএলের নিলামে লড়াই হয় তুমুল। শেষ পর্যন্ত ৭ কোটি রুপিতে তাকে দলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।