পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে এমনিতেই খেলার কথা ছিল না ডি ককের। কিন্তু মাত্র ২৯ বছর বয়সেই টেস্ট ছেড়ে দেবেন, এমন কিছুর কোনো আভাস ছিল না।
‘বাড়ন্ত পরিবারকে আরও সময় দিতেই’ এই সিদ্ধান্ত, বিবৃতিতে বলেছেন ডি কক।
মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে জেরবার দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে মাঠের ভেতরের সময়ও ভালো কাটছে না। লম্বা সময় ধরে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া দল চেষ্টা করছে থিতু হওয়ার। সেই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন ডি কক। সেখানে এখন বড় এক শূন্যতা তৈরি হলো।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলে যাবেন এই কিপার ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্যারিয়ার থেমে গেল ৫৪ ম্যাচে। তাতে ৬ সেঞ্চুরি ও ৩৮.৮২ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩০০। উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল ২৩২টি।
ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে সবশেষ টেস্ট সিরিজেও তিনি ছিলেন ম্যান অব দা সিরিজ।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ডি কক বললেন, খুব কঠিন হলেও পরিবারের জন্য এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।
“এই সিদ্ধান্ত খুব সহজে আসেনি। ভবিষ্যৎ কেমন হবে এবং সামনের পথচলায় সবচেয়ে প্রাধান্য দেব কোনটি, এসব নিয়ে অনেক ভেবেছি আমি। সাশা (ডি ককের স্ত্রী) ও আমি আমাদের প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি এবং এরপরও পরিবার গড়ে তুলতে চাই।”
“পরিবারই আমার কাছে সবকিছু এবং আমাদের জীবনের এই নতুন ও রোমাঞ্চকর সময়ে ওদের সঙ্গে কাটানোর সময় ও সুযোগ চাই আমি।”