বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে রেকর্ড বইয়ে সাজিদ

চট্টগ্রাম টেস্টে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলির বোলিংয়ে চাপা পড়ে গিয়েছিল সাজিদ খানের অবদান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। মিরপুর টেস্ট সব আলো কেড়ে নিলেন তিনিই। ৮ উইকেট নিয়ে জায়গা করে নিলেন রেকর্ড বইয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2021, 05:38 AM
Updated : 8 Dec 2021, 07:17 AM

২ টেস্ট ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ সফর শুরু করেন সাজিদ। তিন ইনিংস শেষে তার নামের পাশে উইকেট ১৪টি। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন চার উইকেট। মিরপুরে ৪২ রানে নিলেন ৮টি।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেন সাজিদ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরাও ছিল এটাই। স্বাভাবিকভাবেই ক‍্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পেলেন ৮ উইকেটের স্বাদ। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি টেস্টে সব দল মিলিয়ে সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০০৬ সালে ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের ১০৮ রানে ৮ উইকেট।

পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সেরা বোলিং পারফরম্যান্স এটি, অফ স্পিনারদের মধ্যে তাদের ইতিহাসের সেরা। অফ স্পিনে আগের সেরা বোলিং ছিল পাকিস্তানের এখনকার প্রধান কোচ সাকলায়েন মুশতাকের ১৬৪ রানে ৮ উইকেট।

টেস্ট ইতিহাসে সাজিদের এই পারফরম‍্যান্সের চেয়ে পাকিস্তানের ভালো বোলিং আছে কেবল তিনটি- আব্দুল কাদিরের ৫৬ রানে ৯ উইকেট পাকিস্তানের সেরা বোলিং, দ্বিতীয় সেরা সরফরাজ নওয়াজের ৮৬ রানে ৮ উইকেট, এরপর ইয়াসির শাহর ৪১ রানে ৮ উইকেট।

সাজিদের ভালো বোলিংয়ের পাশে বাংলাদেশের ব‍্যাটসম‍্যানদের উপহারেরও ভূমিকা ছিল তার এই রেকর্ডের পিছনে। প্রায় সব ব‍্যাটসম‍্যানই উইকেটে গিয়ে রানের জন‍্য ছটফট করেন। বারবার আগ্রাসী শট খেলার চেষ্টা করেন। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েও আবার ঝুঁকি নেন। এর সব কিছুর যোগফলে সেদিন ৬ উইকেট পেয়ে যান সাজিদ।

পঞ্চম দিন সকালে এলবিডিব্লউ করে দেন তাইজুল ইসলামকে। বাঁহাতি ব‍্যাটসম‍্যান বুঝতেই পারেননি বলের লাইন।

আগের দিন রান আউট হয়েছিলেন মুমিনুল হক। পরদিন সৈয়দ খালেদ আহমেদকে বোল্ড করে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কেবল এই দুটি উইকেটই পাননি সাজিদ।

ফলোঅন বাঁচাতে যার দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেই সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের ৮৭ রানে থামিয়ে দেন সাজিদ। তাকে বাউন্ডারি মারার পরের বলেই ডাউন দা উইকেট খেলতে যান সাকিব। তা দেখে লেংথ খাটো করে দেন সাজিদ। সাকিব চালিয়ে দেন ব্যাট। শর্ট কাভারে ক্যাচ নেন আজহার আলি।

নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের ফলোঅন ও সাজিদের রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেওয়া।