চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ৪৯ রানেই হারায় প্রথম ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে পরিস্থিতি ছিল আরও করুণ। এবার ২৫ রানের মধ্যে প্রথম ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে শেষ ৪ উইকেট পড়ে ৪ রানের মধ্যে!
আফ্রিদি প্রথম ইনিংসে উইকেট নেন দুটি, তার পেস জুটির সঙ্গী হাসান আলি নেন ৫টি। দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক উল্টো। এবার হাসানের উইকেট দুটি, আফ্রিদির ৫টি।
শেষ ইনিংসে নিজের তৃতীয় ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন আফ্রিদি। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি দল। উইকেট পেস বোলিংয়ের সহায়ক ছিল না। তারপরও আফ্রিদি ও হাসানের দুর্দান্ত স্কিলের সামনে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের দুর্বলতা প্রকাশ্য হয়ে ওঠে প্রকটভাবে।
দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি আফ্রিদি ও হাসান। তাদের ঝুলিতে আরও কিছু শিকার তাই জমা হতেই পারে।
টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদি অবশ্য বললেন, কঠিন পরীক্ষায় উতরে তবেই এমন সাফল্য ধরা দেয়।
“টেস্ট ক্রিকেটে টানা দুই বলে উইকেট নেওয়া কখনোই সহজ নয়। সত্যিই কঠিন। টেস্ট ক্রিকেট এটির নাম কারণ এখানে প্রতিটি সেশন, প্রতিটি মিনিট কঠিন ক্রিকেট হয় ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফুল লেংথে বল করার চেষ্টা করি এবং উপভোগ করি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট নেওয়া সহজ নয়। ওদের বেশ কজন ভালো ক্রিকেটার আছে। আমি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।”
এই টেস্টে দারুণ একটি মাইলফলকের হাতছানিও আছে আফ্রিদির সামনে। আর ৬ উইকেট নিলেই এই বছর পূর্ণ হবে ৫০ টেস্ট উইকেট।