এই সিরিজের তিন ম্যাচেই আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে করতে পারে ১২৭ রান, পরেরটিতে স্রেফ ১০৮, শেষ ম্যাচে ১২৪। এই রান তাড়া করতেও প্রথম ও শেষ ম্যাচে বেশ ভোগান্তি হয় পাকিস্তানের। ধীরগতির উইকেটে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানের স্ট্রোকমেকাররা।
দুই দল মিলিয়ে গোটা সিরিজে ফিফটি হয়েছে স্রেফ একটি। তিন ম্যাচ মিলিয়ে একজন ব্যাটসম্যানের রানও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। অন্তত ৫০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কারও স্ট্রাইক রেট ১০৫ স্পর্শ করেনি।
ব্যাটসম্যানদের এই দুর্দশার জন্য উইকেটকেই দায় দিচ্ছেন আফ্রিদি। সাবেক এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের হয়ে যেমন অনেকবার বাংলাদেশে খেলে গেছেন, তেমনি খেলেছেন বিপিএল ও ঢাকা লিগেও। টুইটারে তিনি বললেন, উইকেট নিয়ে ভাবতে হবে বাংলাদেশকে।
“বাংলাদেশের গভীর উপলব্ধি প্রয়োজন, তারা কি এই ধরনের পিচে খেলে জিততে চায় এবং দেশের বাইরে ও বিশ্বকাপে মলিন পারফরম্যান্স দিতে চায়? তাদের প্রতিভা আছে অনেক, খেলাটির প্রতি আবেগ তীব্র। কিন্তু উন্নতি করতে হলে ভালো পিচের প্রয়োজন জরুরিভাবে।”
উইকেট বিরুদ্ধ থাকলেও পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-০তে। শেষ ম্যাচটি যদিও সম্ভাব্য সহজ জয় অনেক কঠিন বানিয়ে তবেই ধরতে পেরেছে পাকিস্তান। তবু জয়টাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন আফ্রিদি।
“অভিনন্দন পাকিস্তান!! শেষদিকে অবশ্য একটু অস্বস্তিকরভাবে কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। তবে জয়ের পথ ধরে তাদেরকে এগোতে দেখাটা দারুণ। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।”