মুশফিক বাদ নাকি বিশ্রামে

পারফরম্যান্সের কারণে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল নিয়মিতই। পুরো ক্যারিয়ারের ছবিও খুব উজ্জ্বল নয়। সব মিলিয়ে ক্রমেই অবধারিত হতে থাকা বাস্তবতাই অবশেষে দেখা গেল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নেই মুশফিকুর রহিম। যদিও বাদ দেওয়া নয়, প্রধান নির্বাচক এটিকে বলছেন বিশ্রাম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2021, 01:29 PM
Updated : 16 Nov 2021, 01:29 PM

বাংলাদেশের হতাশার বিশ্বকাপে এবার ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি মুশফিকও। ৮ ইনিংসে তার রান ১৪৪। গড় ২০.৫৭, স্ট্রাইক রেট মোটে ১১৩.৩৮।

রানের তালিকায় যদিও তিনি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয়। কিন্তু ১৫ বছর ধরে যিনি টি-টোয়েন্টি খেলে আসছেন, বিশ্ব ক্রিকেটেই যিনি সবচেয়ে অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের একজন, তার কাছ থেকে আশা থাকে আরও অনেক বেশি। বিশ্বকাপ শুধু বড় রান করার ব্যর্থতাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাজে শটে আউট হওয়ার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে মুশফিককে।

বিশ্বকাপে দলের বাদ পড়ার পর কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহে মুশফিকের বাইরে থাকাটা অনুমিত বলেই মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হলো। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার শুরুর দিকেই প্রশ্ন হলো মুশফিককে নিয়ে। কারণ ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক।

“মুশফিককে নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেছি। আমাদের পরপর চারটি টেস্ট আছে। পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। তারপরই নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আছে। মুশফিক আমাদের অন্যতম সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তামিম ইকবালের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের একটা চোট সমস্য আছে। টেস্ট সিরিজে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে। আমরা চাচ্ছি, মুশফিক যেন টেস্টে সেরাটা দিতে পারে। এজন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি।”

৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার কদিন পরই নিউ জিল্যান্ডে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ।

তবে এটা কি আসলেই বিশ্রাম নাকি বিশ্রামের মোড়কে বাদ দেওয়া, সেই প্রশ্নও উঠছে। মিনহাজুল আবেদীন যদিও জোর দিয়ে দাবি করলেন, এটা বিশ্রামই।

“শুধু পাকিস্তান সিরিজের জন্য ওকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার অ্যাভেইলেবল হতেই পারে।”

এই সিরিজের পর বাংলাদেশের আবার টি-টোয়েন্টি আছে ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তার আগে জানুয়ারিতে হবে বিপিএল। আপাতত ওই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টই হতে পারে মুশফিকের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ‘লাইফ লাইন।’ নইলে তার এই ‘বিশ্রাম’ হতে পারে দীর্ঘায়িত।