আইপিএলের সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে একরকম দর্শক হয়েই ছিলেন সাকিব। মর্গ্যান, রাসেলের সঙ্গে সুনিল নারাইন ও লকি ফার্গুসনদের ভীড়ে একাদশে ঠাঁই হচ্ছিল না বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের। তাকে ফেরার সুযোগ করে দেয় রাসেলের চোট। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ছিটকে যাওয়ার পর শুরুতে টিম সাউদি, টিম সাইফার্টকে খেলিয়ে শেষ পর্যন্ত সাকিবে আশ্রয় নেয় কলকাতা।
দুই ম্যাচ খেলে সাকিব আরও একবার বুঝিয়ে দেন নিজের উপযোগিতা। প্রথমটিতে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১টি উইকেট, সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে সরাসরি থ্রোয়ে করেন গুরুত্বপূর্ণ রান আউট। পরের ম্যাচে ইনিংসের প্রথম ওভারে স্রেফ ১ রান দিয়ে ১ উইকেট। এরপর আর বোলিং পাননি তিনি। তবে আবারও রান আউট করে ও ক্যাচ নিয়ে অবদান রাখেন ফিল্ডিংয়ে। দলের জয়ের এই দুই ম্যাচে সাকিবের ব্যাটিং প্রয়োজনই হয়নি।
আগের ম্যাচের পর দলের জয়ে সাকিবের বড় অবদানের কথা বলেছিলেন মর্গ্যান। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে সাকিব ১ ওভার বোলিংয়ে সাফল্য পাওয়ার পরও আর বোলিং না পাওয়ার ব্যাপারটি বিস্ময় জাগায় বেশ। তবে ম্যাচ শেষে মর্গ্যান আবারও বললেন, দলের পারফরম্যান্সে সাকিবের প্রভাব অনেক।
“সাকিব আল হাসান দলে এসে গত দুই ম্যাচে যেভাবে পারফর্ম করেছে, আন্দ্রে রাসেলের ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার কাজটা তাতে কিছুটা সহজ হয়েছে। তার মতো একজনকে অভাব পূরণ করা কঠিন। সে নেই মানে, জেনুইন একজন বোলার ও ব্যাটারকে একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সাকিব এসে অসাধারণ করছে। আমাদের সবশেষ দুটি জয়ে বিশাল অবদান রেখেছে সে।”
রাজস্থানের বিপক্ষে এই ম্যাচে ৮৬ রানের জয়ে প্লে অফ একরকম নিশ্চিতই করে ফেলেছে কলকাতা।