পান্তের গায়ে থ্রো লেগেছে, জানলেও রান নিতেন অশ্বিন

ফিল্ডারের থ্রো ব্যাটসম্যানের গায়ে লাগলে সুযোগ থাকলেও সাধারণত ‘স্পিরিট অব দা ক্রিকেট’-এর খাতিরে দৌড়ে রান নেন না ব্যাটসম্যানরা। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এর ব্যতিক্রম করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই স্পিনার জানিয়েছেন, রিশাভ পান্তের গায়ে বল লাগার বিষয়টি জানতেন না তিনি। সঙ্গে অবশ্য এটাও বলেছেন, জানলেও রান ঠিকই নিতেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2021, 11:35 AM
Updated : 30 Sept 2021, 11:35 AM

শারজাহতে গত মঙ্গলবার আইপিএলে দুই দলের ম্যাচের প্রথম ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে ঘটে এই কাণ্ড। ভেঙ্কাটেশ আইয়ারের করা ইয়র্কারে বল পয়েন্টে ঠেলে একটি রান নেন পান্ত। পয়েন্ট ফিল্ডার রাহুল ত্রিপাঠি থ্রো করলে তা নন স্ট্রাইক প্রান্তে পান্তের গায়ে লেগে চলে যায় ফাঁকা জায়গায়। তখন পান্ত ও অশ্বিন রান নিয়ে নেন আরেকটি।

তাতেই শেষ ওভারে স্ট্রাইক পান অশ্বিন আর আউট হয়ে যান প্রথম বলে। টিম সাউদি-ওয়েন মর্গ্যানরা তাতে পেয়ে যান নিজেদের অসন্তুষ্টি বুঝিয়ে দেওয়ার সুযোগ।

অশ্বিন মাঠ ছাড়ার সময় তাকে কিছু একটা বলেন বোলার সাউদি। অশ্বিনও জবাব দিতে দেরি করেননি। হাঁটতে হাঁটতেই তিনি হাত নাড়িয়ে কিছু বলতে থাকেন সাউদিকে। এরপর কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন মর্গ্যানও। কলকাতা অধিনায়ক এগিয়ে এসে কিছু বলেন অশ্বিনকে। ভারতের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার তাতে চটে যান বেশ, হেলমেট খুলে বেশ অনেকটা তেড়ে যাওয়ার মতো করেই এগিয়ে যান মর্গ্যানের দিকে। মুখ চলতে থাকে দুজনেরই।

তবে ওই রান নেওয়া নিয়ে অনুশোচনা নেই অশ্বিনের। বৃহস্পতিবার টুইটারে তিনি নিজের বৈধ সিদ্ধান্তের পক্ষেই কথা বলেন। একই সঙ্গে বললেন, নৈতিকতাকে এখানে টেনে আনার অধিকার নেই মর্গ্যান ও সাউদির।

“প্রথমত, ফিল্ডারের থ্রো দেখেই আমি রান নেওয়ার জন্য ঘুরেছিলাম। জানতাম না, রিশাভের গায়ে বল লেগেছে। দ্বিতীয়ত, যদি দেখতাম তখনও রান নিতাম কি-না? অবশ্যই নিতাম এবং নেওয়ার নিয়ম আছে। তৃতীয়ত, মর্গানের মতে আমি অসম্মানের কিছু করেছি, সত্যিই কি তাই? অবশ্যই না।”

এর আগে ‘মানকাড’ আউট করে এবং এর পক্ষে কথা বলেও আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিলেন অশ্বিন। এবার এই রান নিয়ে। তবে এসবে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। তার কাছে, স্পিরিট অব দা ক্রিকেটের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।

“এমন লাখো ক্রিকেটার আছে যারা ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা নিয়ে এই দুর্দান্ত খেলাটি খেলেন এবং তাদের ক্যারিয়ার গড়েন। তাদের বরং শেখানো উচিত, আউটের জন্য করা বাজে থ্রোয়ে একটি অতিরিক্ত রান ক্যারিয়ার গড়ে দিতে পারে এবং নন-স্ট্রাইক প্রান্তে চুরি করা বাড়তি এক গজ ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে।”

“(থ্রোয়ে) ব্যাটসম্যানের গায়ে বল লাগলে রান নেওয়া উচিত নয় এবং (মানকাড আউট না করে) নন-স্ট্রাইকারকে সতর্ক করে দেওয়া উচিত, এমনটা করলে সে ভালো মানুষ বিবেচিত হবে; এটা বলে তাদের বিভ্রান্ত করবেন না। কারণ এসব কথা বলে যারা একজনকে ভালো বা খারাপ বলছে, তারা ইতোমধ্যেই জীবিকা নির্বাহের জন্য নিজেদের কাজটা করেছে অথবা অন্যত্র সফল হতে যা করণীয় করছে। মাঠে মন-প্রাণ উজার করে দিন, খেলাটির নিয়মের মধ্যে খেলুন এবং খেলা শেষে হাত মেলান। ‘স্পিরিট অব দা গেম’ বলতে আমি এগুলাকেই বুঝি।”