৩৪ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানান।
“ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি ঘোষণা করছি, আগামীকাল (সোমবার) প্রিয় দেশের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ১৭ বছরের পথচলা...যা আমাকে বিনয়ী হতে শিখিয়েছে। সবসময় মনে করিয়ে দিয়েছে, আমি কতই না ভাগ্যবান যে এত দীর্ঘ সময় ধরে এমন অবস্থানে ছিলাম।”
“২০০৪ সালে অভিষেকের পর থেকে সবসময় আমার লক্ষ্য ছিল দলকে সেরা অবস্থানে রেখে যাওয়া। আশা করি, আমি তা করতে পেরেছি।”
জিম্বাবুয়ের হয়ে টেইলরের অভিষেক ২০০৪ সালের এপ্রিলে, দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে। অভিষেকে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। পরে এই সংস্করণেই বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে তার ক্যারিয়ার। ২০৪ ম্যাচে ৩৫.৭০ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ৬৭৭ রান, দেশের হয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সোমবার শেষ ম্যাচে ১১০ রান করতে পারলে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে ছাড়িয়ে তিনি উঠে যাবেন চূড়ায়।
টেইলর প্রথম দফায় জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেন ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। এই বছরের শুরুতে অধিনায়কত্ব পান আবার। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৬ ম্যাচে ৭২.১৬ গড়ে করেছিলেন ৪৩৩ রান। জিম্বাবুয়ের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৪০০ রানের মাইলফলক পেরিয়েছিলেন তিনি। সেঞ্চুরি করেছিলেন টানা দুই ম্যাচে। তার আগে বিশ্বকাপে এমন কীর্তি গড়তে পারেননি জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যান।
ওই টুর্নামেন্টের পরই তিনি জাতীয় দল থেকে সরে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট দল নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে তিন বছরের কোলপাক চুক্তি করে।
টেস্ট খেলেছেন তিনি ৩৪টি। ৩৬.২৫ গড়ে রান ২ হাজার ৩২০, দেশের হয়ে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। এই সংস্করণে তার ৬ সেঞ্চুরির পাঁচটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। ৪৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার রান ৯৩৪।
তিন সংস্করণেই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টেইলর। টেস্টে তার নেতৃত্বে ১৬ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের জয় ৩টি। ৩৭ ওয়ানডেতে জয় ৯টি এবং ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪টি।