সিরিজের চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৬২ রানে ৫ উইকেট হারানোর বিপর্যয় কাটিয়ে ইংল্যান্ড করে ২৯০ রান। লিড পায় ৯৯ রানের।
রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের দৃঢ়তায় ভারত দিন শেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তুলে। এখনও ৫৬ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
পোপ ছয় নম্বরে নেমে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় ১৫৯ বলে করেন ৮১ রান, পেস বোলিং অলরাউন্ডার ওকস ৬০ বলে ৫০। দুজনই সিরিজে খেলছেন প্রথমবার।
দা ওভালে শুক্রবার সকালে আকাশে ছিল মেঘ। উইকেট যদিও ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল না এ দিন। ইংল্যান্ড দিন শুরু করে ৩ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে। দ্রুত বিদায় নেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ওভারটন ও দাভিদ মালান।
দুজনই উমেশ যাদবের শিকার। দিনের দ্বিতীয় ওভারে শর্ট বল কাট করার চেষ্টায় প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ ওভারটন। দ্বিতীয় স্লিপে রোহিতের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেওয়া মালান এ দিন যোগ করতে পারেন কেবল ৫ রান।
৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন বিপদে ইংল্যান্ড। সেখান থেকেই তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু পোপ ও জনি বেয়ারস্টোর হাত ধরে। দুজনের ব্যাটে বাড়তে থাকে রান। মোহাম্মদ সিরাজকে টানা তিনটি চার মারেন বেয়ারস্টো, শার্দুলের চার বলে তিনটি পোপ।
লাঞ্চ বিরতিতে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৩৯। বিরতির পর বেশিক্ষণ টেকেননি বেয়ারস্টো। তাকে এলবিডব্লিউ করে ৮৯ রানের জুটি ভাঙেন সিরাজ। ৭৭ বলে ৭টি চারে ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৩৭ রান।
সিরাজকে বাউন্ডারি মেরে পোপ ফিফটিতে পা রাখেন ৯২ বলে। ২০২০ সালের অগাস্টের পর এই সংস্করণে তার প্রথম পঞ্চাশ। আটে নেমে তাকে ভালো সঙ্গ দেন মইন আলিও। তাতে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় লিড, রান ছাড়ায় দুইশ।
চা বিরতির আগে হঠাৎ যেন মনোযোগ হারান মইন। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বাজে এক শটে বিলিয়ে আসেন উইকেট। ৭১ বলে ৭টি চারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৩৫। ভাঙে ৭১ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
এই মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এর আগে ১৯ ইনিংসের ৯টিতে ফিফটি ছুঁয়ে ৭টিকেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছিলেন পোপ। এবারও এগিয়ে যাচ্ছিলেন সে পথেই। কিন্তু তার ৮১ রানের ইনিংসটি শেষ হয় শার্দুলের বলে বাজে শটে। শরীর থেকে অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। ১৫৯ বলে ৬ চারে গড়া তার ইনিংসটি।
এরপর অলি রবিনসন বিদায় নেন দ্রুত। লিড বাড়তে থাকে ওকসের ব্যাটে। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৫৮ বলে। ওই ওভারেই তার রান আউটে শেষ হয় দলের ইনিংসও। ৬০ বলে ১১ চারে সাজানো ওকসের ৫০ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে ৩৫ রানের শেষ উইকেট জুটিতে জেমস অ্যান্ডারসনের অবদান কেবল ১।
পরে বোলিংয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেট পেতে পারতেন অ্যান্ডারসন। স্লিপে রোহিতের ক্যাচ নিতে পারেননি ররি বার্নস। ৪ রানে জীবন পান ভারত ওপেনার। বাকি সময়ে ইংলিশ পেসারদের দারুণভাবে সামলে দিন শেষ করেন রোহিত (২০*) ও রাহুল (২২*)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৬১.৩ ওভারে ১৯১
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৫৩/৩) ৮৪ ওভারে ২৯০ (বার্নস ৫, হামিদ ০, মালান ৩১, রুট ২১, ওভারটন ১ পোপ ৮১, বেয়ারস্টো ৩৭, মইন ৩৫, ওকস ৫০, রবিনসন ৫, অ্যান্ডারসন ১*; উমেশ ১৯-২-৭৬-৩, বুমরাহ ২১-৬-৬৭-২, শার্দুল ১৫-২-৫৪-১, সিরাজ ১২-৪-৪২-১, জাদেজা ১৭-১-৩৬-২)
ভারত ২য় ইনিংস: ১৬ ওভারে ৪৩/০ (রোহিত ২০*, রাহুল ২২*; অ্যান্ডারসন ৬-১-১৩-০, রবিনসন ৪-০-২১-০, ওকস ৫-১-৮-০, ওভারটন ১-০-১-০)