‘ইডিয়টের মতো দেখালেও ব্যাটিং করে যেতে হবে’

ব্যাটিং টেকনিকে সুনিল গাভাস্কার ছিলেন শুদ্ধতার প্রতীক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের টেকনিকের গলদে তাই বেজায় চটেছেন এই কিংবদন্তি। টেস্টে ১০ হাজার রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান উত্তরসূরিদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, নান্দনিকতার চেয়েও জরুরি উইকেটে টিকে থাকা ও লড়াই চালিয়ে যাওয়া।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2021, 05:39 AM
Updated : 3 Sept 2021, 11:54 AM

হেডিংলি টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যাওয়ার পর ওভালে টেস্টের প্রথম দিনেও ভারত গুটিয়ে গেছে ১৯১ রানে। এই রানটাও করতে পেরেছে তারা আটে নামা শার্দুল ঠাকুরের ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের সৌজন্যে। ১২৭ রানেই হারায় তারা ৭ উইকেট। কেবল বিরাট কোহলির ৫০ ছাড়া টপ ও মিডল অর্ডারে রান পাননি আর কেউ।

গাভাস্কারের দৃষ্টিকটু লেগেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের ধরন। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে উইকেটে টিকে থাকার জন্য জরুরি বল ছেড়ে দেওয়া। সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে আলোচনায় গাভাস্কার বললেন, বারবার ব্যাট বাড়িয়ে দিয়েই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

“খেয়াল করে দেখুন, কোন লেংথে বল করা হয়েছে আর ব্যাটসম্যানরা কোথায় খেলছে। সামনের পায়ে ওরা এতটাই সমর্পিত যে ওদের জন্য ব্যাট সরিয়ে নেওয়া কঠিন। ওদের প্রবণতা কেবল বলকে তাড়া করা। স্রেফ একটু পেছনের পায়ে থাকলেও বাড়তি ন্যানো সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়, যেখানে কবজিটা সরিয়ে নিয়ে বল ছেড়ে দেওয়া যায়।”

গাভাস্কারের মতে, পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ের ধরনের সঙ্গে আপোস করে হলেও লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত।

“দেখতে ইডিয়টের মতো লাগলেও ব্যাটিং করে যেতে হবে। খেলার সময় দেখতে ইডিয়টের মতো লাগছে নাকি দারুণ, স্কোরবোর্ডে সেসব লেখা থাকে না। সেখানে থাকে রানসংখ্যা। (চেতেশ্বর) পুজারা যেভাবে বল তাড়া করছে, সেভাবে করতে থাকলে বা সামনের পায়ে সমর্পিত হয়ে থাকলে বিপদে পড়তেই হবে।”