মিরপুরের উইকেট ভালো করা যাচ্ছে না ‘আবহাওয়ার কারণে’

একের পর এক জয় ধরা দিচ্ছে আর সঙ্গে বাড়ছে প্রশ্ন। এরকম মন্থর ও টার্নিং উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য কি আদর্শ? এরকম উইকেটে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিই বা কতটা হচ্ছে! প্রশ্নগুলোকে যৌক্তিক মানছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানও। তবে উইকেট নিয়ে তার কণ্ঠে শোনা গেল অসহায়ত্ব। ভালো উইকেট বানাতে চাইলেও আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে দাবি তার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2021, 01:35 PM
Updated : 2 Sept 2021, 01:35 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট এমনিতেই বেশ মন্থর। বল ব্যাটে আসে ধীরে। শট খেলা কঠিন। তবে মিরপুরের মানেও উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ১২০ রানও ছিল জয়ের মতো স্কোর।

এবার নিউ জিল্যান্ড সিরিজে তো উইকেট আরও চ্যালেঞ্জিং। প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে স্রেফ ৬০ রানে। সেই রান তাড়ায় বাংলাদেশকে খেলতে হয় ১৫ ওভার। উইকেট মন্থর ও টার্নিং তো ছিলই, গ্রিপও করে ভীষণ।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বৃহস্পতিবার আকরাম বললেন, অনেক চেষ্টা করাও উইকেট ভালো তৈরি করা যাচ্ছে না।

“প্রথমেই একটা জিনিস বলি, উইকেট খারাপ হলে তা দুই দলের জন্যই ছিল। শুধু নিউ জিল্যান্ডের জন্য খারাপ ছিল না। আমাদের খেলোয়াড়রাও কষ্ট করে রান করেছে। উইকেট যেমনই হোক দুই দলের জন্যই তো সমান থাকছে।”

“আরেকটা ব্যাপার হলো, এখনকার আবহাওয়ার কারণে উইকেট শুকানো যাচ্ছে না। উইকেটে কাভার দিয়ে রেখেছি। এগুলো কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যেমন উইকেট পাই, বছরের এই সময়ে এমন উইকেট পাই না। এখন ভালো উইকেট আশা করা কঠিন। উইকেট আরও ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলেছি, উইকেট আরও একটু ভালো করা গেলে প্রস্তুতি আরও ভালো হবে।”

উইকেটের ওপর চাপ অনেক বেশি পড়ছে একই মাঠে এত ম্যাচ হওয়ার কারণেও। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৭ দিনের মধ্যে ৫ ম্যাচ ছিল মিরপুরে। এবার নিউ জিল্যান্ড সিরিজে ১০ দিনের মধ্যে ৫ ম্যাচ একই মাঠে।

আকরাম জানালেন, সফরকারীদের চাওয়ার কারণেই একাধিক মাঠে খেলা সম্ভব হচ্ছে না।

“সমস্যা হচ্ছে একই মাঠে খেলায়। আমরা চেয়েছিলাম, দুইটা ভেন্যুতে যাতে খেলা হয়। ওরাই চেয়েছে একটা ভেন্যুতে খেলতে। ওরা এখানেই খেলবে, এখানের বাইরে যাবে না। কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়া খেলে গেছে, এখন নিউ জিল্যান্ড খেলছে। উইকেটেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। সবকিছু বিবেচনায় রাখতে হবে।”