পাঁচ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে প্রথম তিন ম্যাচেই। সেই জয়ের মূল কারিগর দলের বোলিং আক্রমণ। দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে দলকে প্রত্যাশিত পুঁজি দিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু সেই স্কোরকে পর্যাপ্ত প্রমাণ করে ছাড়েন বোলাররা। আরেক ম্যাচে আগে বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জে বোলাররা অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখেন অল্প রানেই।
এই সিরিজের আগে জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে বড় অবদান ছিল ব্যাটিং ইউনিটের। সেখানে উইকেট ছিল ব্যাটিং বান্ধব। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে নিজেদের মেলে ধরেন ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে ১৫৩ রান তাড়ায় জয় এসেছিল ৮ উইকেট। সিরিজ জয়ের ম্যাচে ১৯৪ রান তাড়ায় জয় ধরা দেয় ৫ উইকেটে।
এই সিরিজের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়ানদের পর্যদুস্ত করতে মিরপুরের উইকেট রাখা হয় মন্থর ও টার্নিং। শট খেলা এখানে কঠিন। এখানে দল তাকিয়ে ছিল বোলারদের দিকে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যাটস্যানদের তো একেবারে হাল ছেড়ে বসে থাকলে চলবে না! সিরিজের বাকিটায় তাদের কাছে তাই আরেকটু বেশি চাওয়া অধিনায়কের।
“ছেলেদের মানসিকতাই ফুটে উঠছে এতে। জিম্বাবুয়ে যে ধরনের কন্ডিশন ছিল, কিছুটা ব্যাটিং সহায়ক কন্ডিশন, ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব সেখানে বেশি ছিল। এখানে যেরকম উইকেট, বোলারদের দায়িত্ব ছিল বেশি।”
‘আরও ভালো’ বলতে অনেক বড় স্কোর অবশ্যই নয়। এই সিরিজের উইকেট ও বাস্তবতা জানেন অধিনায়ক। তিন ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ১৩০ পার হয়েছে মোটে একবার। রান করা এখানে খুবই কঠিন। মাহমুদউল্লাহর স্রেফ চাওয়া, আরেকটু বড় পুঁজি বোলারদের দেওয়া।
“(উইকেটের) কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে আমরা যদি ব্যাটিংটা আরেকটু ভালো করতে পারি, আরও ১০-১২টি রান, একটি-দুটি চার, কয়েকটি ডাবলস বা সিঙ্গেলস নিয়ে যদি আদায় করতে পারি, তাহলে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা খুশি হব, আমাদের বোলারদেরও বেশি বিশ্বাস জোগাবে।”
উন্নতির এই তাড়না নিজেদের আরও এগিয়ে নিতে। সিরিজের মূল লক্ষ্য অর্জন করা হয়ে গেছে। ধরা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়। এবার অধিনায়কের চাওয়া, ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়া।
“আমরা এখন ৩-০তে আছি (এগিয়ে), সিরিজ জিতেছি। তবে কালকে (শনিবার) বাংলাদেশের হয়ে আরেকটি ম্যাচ জেতার বড় সুযোগ।”
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ শনিবার, যথারীতি সন্ধ্যা ৬টায়।