এক দিনের ছোট্ট বিরতির পর আবার শুরু বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লড়াই। ২-০তে এগিয়ে থাকা থাকা বাংলাদেশ শুক্রবার মাঠে নামবে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টি শুরু যথারীতি সন্ধ্যায় ৬টায়।
সিরিজ জয়ের জন্য ম্যাচ বাকি এখনও তিনটি। তবে অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পেয়ে সুযোগটি কাজে না লাগানোর কারণ নেই। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার ঝুঁকিই বা কেন নেওয়া হবে! দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন যেমন সরাসরিই বলে দিয়েছেন, এই ম্যাচেই সিরিজ জয় তাদের লক্ষ্য।
“অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকটি ম্যাচ নিয়ে চিন্তা থাকে। আপাতত আমাদের চিন্তা থাকবে সামনের ম্যাচটা যেন ভালো খেলে জিততে পারি। জিততে পারলে সিরিজটি তো আমাদের পক্ষেই আসবে। চেষ্টা করব সামনের ম্যাচ জেতার।”
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানের প্রতিক্রিয়া একটু সাবধানী। তিনি বললেন, দল এগোতে চায় একটি করে পদক্ষেপে। তবে লক্ষ্য ওই একই, সিরিজ জয়।
“সবারই চিন্তা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনোর। দলের সবারই ভাবনা এটি। যেহেতু এটা গোল বল, যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। সবার মনোযোগ এখন তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। তার পর একটার পর একটা এগোব। আশা করি, সিরিজটা জিতব এবং পুরো সিরিজ ভালোভাবে শেষ করতে পারলে ভালো লাগবে দিনশেষে।”
এই উইকেট কতটা কঠিন, সেটা গত ম্যাচের পর ব্যাখ্যা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান মোইজেস হেনরিকেস। আইপিএলে ভারতে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও পাশের দেশেই এমন উইকেট তার কাছে মনে হচ্ছে যেন ভিন্ন এক গ্রহে খেলা।
“আইপিএলে আমি ৬০টি ম্যাচ খেলেছি, কিন্তু এখানকার উইকেটে খেলে…আমার অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে প্রতিকূল ও বিরুদ্ধ। অদ্ভুত একটা কোমলতা আছে এই উইকেটের। পাওয়ার প্লেতে প্রায় ৬ ওভারই ওরা স্পিন দিয়ে চালিয়েছে এটা জেনেই যে বছরের এই সময়টায় উইকেট কেমন থাকে, কতটা ভেজা থাকে। উইকেটের আচরণ জানার সুবিধা তারা পেয়েছে। আমরা ভাবতেও পারিনি, উইকেট এরকম হবে।”
“এখানে মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার এবং আরেকটু দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে আমাদের,এটা নিশ্চিত। অজুহাতের কিছু নেই এখানে। এই পরীক্ষায় পড়াটা আমাদের জন্য দারুণ, কারণ আমার মনে হয় না, দেশের বাইরে এর চেয়ে ভিন্ন বা উল্টো কন্ডিশন আমরা আর পাব।”
উইকেটে ধাঁধাঁ আর অস্ট্রেলিয়ানদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় পেরিয়ে যাক অন্তত আরেকটি ম্যাচ, বাংলাদেশ চাইবে সেটিই।